|
|
|
|
ভাবনা নার্সিং স্কুল, মডেল হাসপাতালের |
নিজস্ব সংবাদদাতা• মেদিনীপুর |
জঙ্গলমহলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ‘হাল’ ফেরাতে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য সরকার। লালগড়ে নার্সিং স্কুল তৈরি, জঙ্গলমহলে ৯টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মানোন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে ঝাড়গ্রাম মহকুমা হাসপাতালটিকে ‘মডেল’ হাসপাতালের স্তরে উন্নীত করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা-রিপোর্ট তৈরির কাজ ইতিমধ্যে শুরু করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর। পুরো প্রক্রিয়াটি খতিয়ে দেখতে সোমবার ঝাড়গ্রামে আসছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা। সংশ্লিষ্ট এলাকার বিএমওএইচ-দের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্র জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। কোথাও চিকিৎসক কম, কোথাও নার্সের সংখ্যা অপর্যাপ্ত। এই প্রেক্ষিতেই জঙ্গলমহলের জন্য স্পেশাল প্যাকেজ তৈরি করা হয়েছে। পরিকাঠামো উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত এলাকার অনেক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ন্যূনতম পরিষেবাও মেলে না বলে অভিযোগ। বেলপাহাড়ির মতো এলাকায় আবার শয্যার অভাবে রোগীদের হাসপাতালের বাইরে থাকতে হয়। গরিব মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। ‘পিছিয়ে পড়া’ এলাকায় স্বাস্থ্যের ‘হাল’ এমনই যে অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগীদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কিংবা মহকুমা হাসপাতালে ‘রেফার’ করে দেওয়া হয়। সেই দূরত্ব অতিক্রম করার পথেই অনেক রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে পড়ে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা মনে করেন, চেষ্টা করলে জঙ্গলমহলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ‘হাল’ ফেরানো অসম্ভব নয়। নতুন সরকার সে ব্যাপারে বিশেষ আগ্রহী হওয়ায়, নড়েচড়ে বসেছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী-আধিকারিকরাও। জঙ্গলমহলের হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রেগুলোয় প্রতিদিন গড়ে কত রোগী আসেন, কত জনকে ‘রেফার’ করা হয়--তা নিয়ে রিপোর্টে তৈরির কাজ চলছে। পাশাপাশি, থাকবে বেশ কিছু প্রস্তাব। নার্সের অভাব পূরণে লালগড়ে নার্সিং ট্রেনিং স্কুল করার উদ্যোগ। এর ফলে আদিবাসী মেয়েরাও উপকৃত হবেন। ঝাড়গ্রাম মহকুমা হাসপাতালে ২৭৬টি শয্যা বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। হাসপাতালটিকে সুপার স্পেশালিটি স্তরে উন্নীত করার কথা ভাবা হচ্ছে। নয়াগ্রাম, ধানশোল, গোপীবল্লভপুর, সাসড়া, লালগড়, রামগড়, ওদলচুয়া, পিরাকাটা ও ভীমপুর--এই ৯টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামো ঢেলে সাজা হবে। |
|
|
|
|
|