|
|
|
|
নিকাশি বন্ধ, জল ৫ গ্রামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাজগঞ্জ |
নিকাশির মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় পাঁচটি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একটি চা বাগানের তরফে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। রাজগঞ্জের বিন্নাগুড়ি অঞ্চলের সীতাগুড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। এ দিন সাড়ে ১২ টা নাগাদ একটি লিঙ্ক ক্যানেলের বাঁধ আচমকা ভেঙে পড়ায় আরও বেশি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বলে খবর। বাগানের তরফে নিকাশি বন্ধ করে দেওয়ায় এলাকায় জলমগ্ন হয়ে পড়ার ঘটনায় গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বাগানের ম্যানেজারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। বাসিন্দারা বিষয়টি প্রশাসনে জানালেবডিও’র নির্দেশে যুগ্ম বিডিও খুরশেদ আলম এলাকায় তদন্তে যান। তদন্তের পর যুগ্ম বিডিও জানান, সীতাগুড়ি এলাকায় পুরনো একটি নিকাশি রয়েছে। বর্ষার সময় বৃষ্টির জল ওই ড্রেন দিয়ে স্থানীয় করতোয়া নদীতে ফেলানোর ব্যবস্থা ছিল। নদীর ধারে ড্রেনের দু’পাশে একটি বড় চা বাগান রয়েছে। অভিযোগ, ওই চা বাগান থেকে ড্রেনের মুখটি মাটি দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ায় বাগান লাগোয়া দক্ষিণ সীতাগুড়ি, উত্তর সীতাগুড়ি, বাখোয়াবাড়ি, গধেয়াগঞ্জ, গুয়াবাড়ি গ্রামগুলিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ১০০ বিঘা কৃষিজমিতে ও বাড়িঘরে হাঁটু জল জমে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। যুগ্ম বিডিও বলেন, “বাগানকে ড্রেনের মুখ খুলে দিতে বলা হয়েছে।” এই পরিস্থিতির উপর সীতাগুড়ি এলাকায় জলের চাপে লিঙ্ক ক্যানেলের বাঁধের প্রায় ১২ ফুটের মতো ভেঙে গিয়ে গ্রামগুলিতে জল ঢুকে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূলের বিন্নাগুড়ি অঞ্চলের সহ-সম্পাদক সাফিউল বারি বলেন, বাগান কৃর্তপক্ষ ড্রেনের মুখ বন্ধ করে দেওয়াতে বাগান লাগোয়া পাঁচটি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বিচন ধান থেকে শুরু করে অন্য খেতও জলের তলায়। আমন চাষের জন্য মানুষ জমিতে হাল দিতে পারছেন না। বাড়িঘরে জল ঢুকে পড়েছে। বাগান কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করার পরেও ড্রেনের বন্ধ মুখ খুলতে রাজি না-হওয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।” বাগানের ম্যানেজার পবন শতনামি’র যুক্তি, “বাগানের পিছনের দিকে নদীর ধারে আমাদের প্ল্যানটেশন রয়েছে। জলের স্রোতে ড্রেনের মাটি ভেঙে পড়ে প্রায় তিন বিঘের মতো প্ল্যানটেশন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই ড্রেনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।” |
|
|
|
|
|