|
|
|
|
কবুল ইউটিইউসি-র |
বাম জমানায় ভাঙা হয়েছে শ্রম আইন |
প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী • কলকাতা |
বামফ্রন্টের আমলে রাজ্যে ‘যথেচ্ছ ভাবে’ শ্রম আইন ভাঙার কথা মেনে নিল অন্যতম শরিক দল আরএসপি-র শ্রমিক সংগঠন ইউনাইটেড ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস (ইউটিইউসি)। এবং এর প্রতিকার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জিও জানাল তারা। বাম জমানায় কোথায় কোথায় কী ভাবে শ্রম আইন ভাঙা হয়েছে, তার বিবরণ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সম্প্রতি চিঠি দিয়েছে ইউটিইউসি।
দীর্ঘ ৩৪ বছর রাজ্য শাসনের সময় বরাবরই নিজেদের ‘শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের প্রতিনিধি’ বলে দাবি করেছে বাম সরকার। কিন্তু শ্রমিক-স্বার্থ সুরক্ষিত করার উদ্দেশ্যে তৈরি ওই সব আইন-ই এ রাজ্যে সঠিক ভাবে কার্যকর করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ইউটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষ। এ বিষয়ে তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “শ্রমিক-স্বার্থ রক্ষার ক্ষেত্রে ওই আইনগুলি কার্যকর করতে না-পারার ব্যর্থতা বামফ্রন্টের মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। তবে আমরা আন্তরিক ভাবে চাই যে, বর্তমান সরকার এর প্রতিকারে উদ্যোগী হোক। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সব রকম সহায়তারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।” মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে ইউটিইউসি-র অভিযোগ, যে-সব ক্ষেত্রে শ্রম আইন যথেচ্ছ ভাবে ভাঙা হয়েছে বা এখনও হচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম ন্যূনতম মজুরি সংক্রান্ত আইন। রাজ্যে ন্যূনতম মজুরি, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ইএসআই, গ্র্যাচুইটি-সহ অনেক ক্ষেত্রে শ্রম আইন ভাঙা সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে পূর্বতন বাম সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি বলে কিছু দিন আগেই অভিযোগ করেন শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। রাজ্যে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের অবস্থা যে অত্যন্ত শোচনীয়, তা-ও উল্লেখ করেছে ইউটিইউসি। জানিয়েছে, আক্ষরিক অর্থেই ‘জঙ্গলের রাজত্ব’ চলছে চটকলগুলিতে। বহু ক্ষেত্রে কেটে নেওয়ার পরও জমা দেওয়া হয়নি শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা। কিছু ক্ষেত্রে বেআইনি ঠিকা শ্রমিক নিয়োগ করা হচ্ছে রাজ্যে। ফ্রন্ট সরকার চা বাগানের শ্রমিকদের হাল ফেরাতেও যে পুরোদস্তুর ব্যর্থ, তা মেনে নিয়েছেন অশোকবাবু। তিনি বলেন, “চা উৎপাদনকারী রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে সব থেকে কম বেতন পান শ্রমিকেরা।” |
|
|
|
|
|