|
|
|
|
বিধায়কের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জেলা কর্তার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
রেজিনগরের বিধায়ক হুমায়ন কবীর, মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদের সদস্য তথা কংগ্রেসের ডোমকল মহকুমা সভাপতি কমলেশ সেনগুপ্ত এবং জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সফিউল আলম-সহ মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, সরকারি আধাকারিককে কাজে বাধা দেওয়া, মারধরের হুমকি ও গালিগালাজ দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের কাছে এফআইআর করলেন মুর্শিদাবাদ জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক সুজয় সরকার।
বৃহস্পতিবার জেলাপরিষদে তাঁর কার্যালয়ের ভিতরে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে সুজয়বাবু শুক্রবার বহরমপুর থানায় অভিযোগ করেন। মুর্শিদাবাদ জেলায় কমর্রত ডব্লিউবিসিএস অফিসারেরা ওই বিষয়ে শুক্রবার বহরমপুর সার্কিট হাউসে বৈঠক করেন। সংগঠনের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি অরিন্দম দত্ত বলেন, “আগামী রবিবার রাতের মধ্যে ওই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে বড় আন্দোলনে নামা হবে। আমরা প্রথমে মানুষ, পরে প্রশাসক। কিন্তু সে কথা ভুলে গিয়ে আমাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে।” পুলিশ সুপার ভরতলাল মিনা বলেন, “অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলাও রুজু করা হয়েছে। এখন তার তদন্ত চলছে।” |
|
নিজস্ব চিত্র। |
জেলা কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “গত ২৩ জুন বৈধ সভায় জেলাপরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষকে অপসারণ করা হয়। অথচ সুজয় সরকারের কলকাঠিতে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষকে অপসারণ করার সরকারি নির্দেশ জারি করা হয়নি গত সাত দিন ধরে। বৃহস্পতিবার ওই বিষয়ে প্রশাসনের ভুমিকা জানার জন্য ওঁর কাছে গিয়েছিলেন জেলাপরিষদের সদস্য ও বিধায়কেরা। অবশেষে শুক্রবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) উলগানাথন গত ২৩ জুনের অপসারণের বৈঠক বৈধ বলে ঘোষণা করেন এবং পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে সোমনাথ সিংহকে অপসারণ করেন। তার ফলেই সিপিএমের ক্যাডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ অতিরিক্ত জেলাশাসক সুজয় সরকার হতাশ হয়ে পড়েন। মিথ্যা মামলা রুজু করেন। আমরা ওই মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনি ও রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যাব।”
অন্য দিকে অভিযুক্ত বিধায়ক হুমায়ন কবীর বলেন, “পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের অপসারণ চেয়ে পদাধিকার বলে জেলাপরিষদের অতিরিক্ত নির্বাহী আধিকারিক সুজয়বাবুকে চিঠি দেওয়ার পরও তিনি অবৈধ ভাবে পূর্ত দফতরের ৫৫ কোটি টাকার কাজের টেন্ডার করেছেন। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রুজু করেছেন।”
সুজয়বাবু অবশ্য বলেন, “জেলার উন্নয়নের কাজ থমকে যাবে বলেই বৈধ ভাবে টেন্ডার করা হয়েছে। বেশ কয়েক জন জনপ্রতিনিধি বৃহস্পতিবার আমার কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর চালায়, মারধরের হুমকি দেয়। আমি তার প্রতিকার চেয়ে আইনের দ্বারস্থ হয়েছি।” |
|
|
|
|
|