|
|
|
|
|
|
|
মুখোমুখি ৩... |
|
আমিও তো রঞ্জনা |
বললেন সোমলতা আচার্য চৌধুরী। ‘রঞ্জনা আমি আর আসব না’র মিউজিক ও ফিল্ম
রিলিজের পর থেকে যাঁকে নিয়ে এখন টালিগঞ্জ আলোড়িত। সামনে হুকাকাশি |
পত্রিকা: বিশ্বভারতী না অবিশ্বভারতী?
সোমলতা: অ্যাঁ (খুব দ্রুত সামলে)... অবিশ্বভারতী!
পত্রিকা: তাই?
সোমলতা: আমার মনে হয়, সেই টিপিক্যাল রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়ার স্টাইল কোথায় যেন গানটাকে ইয়াংদের থেকে অনেক দূরে নিয়ে যায়। অথচ এই ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে যতটুকু জানি, রবীন্দ্রনাথ ছিলেন অসম্ভব আধুনিক। ঠিক এ ভাবেই উচ্চারণ করে গাইতে হবে, ঠিক এ ভাবেই তার স্টাইলাইজেশন হবে, উনি কখনও বলেননি। উনি শুধু গানগুলোকে স্বরলিপিবদ্ধ করেছিলেন, সুরটা যাতে বেশি বিকৃত না হয়ে যায়। আমার নিজের বিশ্বাস, যে মোমেন্টে শিল্পী ঠিক যে ভাবে ফিল করে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবে সেটাকেই গ্রহণ করাটা সব চেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট।
পত্রিকা: ‘জাগরণে যায় বিভাবরী’ অবিশ্বভারতী গাওয়ার জন্য নীল দত্তকে তা হলে জোর করতে হয়নি?
সোমলতা: এতটুকু না। খুব খুশির সঙ্গে গেয়েছি।
|
পত্রিকা: সোমলতা আচার্য চৌধুরী। রাশিয়ান নামগুলোর মতোই কী লম্বা!
সোমলতা: (হাসি) আরে আমরা ও ভাবেই লিখি। কয়েক পুরুষ থেকেই আচার্য চৌধুরী লেখা হয়। এটা এমন নয় যে একটা পদবি বাবার থেকে এসেছে। আরেকটা বিবাহিত হয়ে। দু’টোই আমার বাড়ির।
পত্রিকা: তাতে সমস্যা নেই। ‘রঞ্জনা’র পর থেকে লোকে নিজেদের সুবিধে মতো করে নিয়েছে। সোমলতা।
সোমলতা: একটা পদবি তো অলরেডি ঝরে গিয়েছিল। আমায় বলা হত সোমলতা আচার্য। অনেকে ধরেই নিয়েছিল আমি বোধহয় শ্রীকান্ত আচার্যের কেউ হই-টই। এ বার মনে হচ্ছে আচার্যটাও খসে গেল (হাসি)। যাক।
পত্রিকা: আপনার জীবনেও অবধারিত কোনও
অবনী আছে!
সোমলতা: এখনও অবধি নেই। আমি খুব জোর দিয়ে গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, আমার জীবনে যা যা ঘটেছে সব নিজের চেষ্টায়। ফিল্মটায় রঞ্জনার জন্য অবনী শুধু পথই দেখায়নি। পথ তৈরিও করে দিয়েছিল। আমি চাই আমায় কেউ পথ দেখাক। কিন্তু পথ তৈরি করে দিক, চাই না। তা হলে আর নিজের হাতে গড়ার স্যাটিসফ্যাকশনটা থাকে না।
|
ছবি: কৌশিক সরকার |
|
পত্রিকা: অঞ্জন দত্তের সঙ্গে প্রেমে পড়ার ইচ্ছে হয়নি?
সোমলতা: মানে?
পত্রিকা: মানে অবনী সেনের সঙ্গে?
সোমলতা: আমার মনে হয়, রঞ্জনার সঙ্গে আমার এই দিকটায় ভীষণ মিল আছে। যে রিঅ্যাকশনটা রঞ্জনার হয়েছিল, আমি হলে ঠিক সেটাই হত। ঘেন্নার মধ্যেও অসুস্থ মানুষের সেবা করার ডিউটিটা করে যেতাম।
পত্রিকা: পরিচিতরা বলছে যথাসম্ভব কম কথায় সোমলতা নিয়ে রচনা এ রকম: সুন্দরী, মনস্তত্ত্বের কলেজ দিদিমণি, গায়িকা, ইন্ট্রোভার্ট, সম্পূর্ণ পিআর বর্জিত এক মহিলা।
সোমলতা: সত্যি পিআর একদম নেই আমার। পারি না ও সব। চট করে মিশতে পারি না। গান যদি জীবনের একমাত্র অপশন হয় তা হলে এই মাইন্ডসেট নিয়ে চলত না। তাই অধ্যাপনা ছাড়িনি। কোনও ব্যান্ড-ট্যান্ডেও যোগ দিইনি। গানটা খুব ভাল লাগার, খুব কাছের জিনিস। তা বলে কম্প্রোমাইজ করার নয়।
পত্রিকা: শুক্রবারের রিলিজের পর সোমলতা ঘিরে
বাজার অর্থনীতির অঙ্কটাই তো বদলে গেল। আদর্শ এর পর
অটুট থাকবে?
সোমলতা: আমার তো মনে হয়, সত্যিই যদি আমার ভেতর ট্যালেন্ট থাকে, তা হলে থাকবে। আমি যখন গাইতে শুরু করেছিলাম, তখনও অনেকে বলেছিল পিআর চাই তোমার। তোমাকে হাই-হ্যালো বলতে হবে। একটু সোশালাইজ করতে হবে। আমি তো সেই সব পরামর্শ অগ্রাহ্য করেই আজকের জায়গাটাতে এসেছি। তা হলে এর পর আর পারব না কেন? আমার বিশ্বাস, গানটা ইম্পর্ট্যান্ট। কে কত নিখুঁত গাইছে সেটা ইম্পর্ট্যান্ট। কে কত মধুর ভাবে হ্যালো বলছে সেটা নয়। |
|
|
|
|
|