পূর্ব মেদিনীপুরের দু’টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে উচ্চ মাধ্যমিক ও পাঁচটি জুনিয়র হাইস্কুলকে মাধ্যমিকে উন্নীত করার অনুমোদন দিল রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। কাঁথির উত্তর আমতলিয়া গীতারানি বিদ্যাভবন ও তমলুকের চকগাড়ুপোতা এসএস হাইস্কুলকে উচ্চমাধ্যমিকে উন্নীত করা হচ্ছে। নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের ভেটুরিয়া ক্ষীরোদচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়, রামচক গোপালচক তৃতীয় খণ্ড জালপাই জুনিয়র হাইস্কুল, আমদাবাদ বালিকা বিদ্যালয়, কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের ফুলেশ্বর দিগম্বরী জুনিয়র হাইস্কুল ও এগরা-১ ব্লকের কল্যাণপুর জুনিয়র হাইস্কুল মাধ্যমিকে উন্নীত হয়েছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) দীপঙ্কর রায় জানান, চলতি শিক্ষাবর্ষে উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত স্কুলগুলিতে কলা বিভাগে পঠন-পাঠন শুরু হবে।
|
ঐতিহ্যমণ্ডিত রথের প্রস্তুতি সারা পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে। প্রায় আড়াইশো বছরের পুরনো এই রথ। ১৭৭২ সালে রানি জানকী ১৭টি চূড়া বিশিষ্ট এই রথের গোড়াপত্তন করেন। পরবর্তীকালে অবশ্য তা হয়েছে ১৩ চূড়ার রথ। ফরাসি শিল্পী এই রথের নকশা করেছিলেন। লক্ষ মানুষের সহর্ষ উপস্থিতিতে রথ টানা হয়। এখন রথ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে মহিষাদল রাজবাড়ি ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি। রাজবাড়ির তরফে শৌর্যনারায়ণ গর্গ জানান, প্রতি বছরই আশঙ্কা তৈরি হয় যে জীর্ণ রথ চলবে তো? সব আশঙ্কা মুছে রথের শোভাযাত্রা বেরোয় মহাসমারোহে। এ বছর আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীকে। রথ উপলক্ষে রাজবাড়ি সেজেছে ফুলে ও আলোয়। আজ, শনিবার গোপালজিউ মন্দিরে হবে নেত্র উৎসব।
|
বর্ষার ভরা কাঁসাই নদীতে ভেসে গেলেন এক প্রৌঢ়। শুক্রবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুরের কালগাঙ এলাকায়। রাত পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি ওই ব্যক্তির। মেদিনীপুর শহরের দেওয়ান বস্তি এলাকায় বাড়ি শেখ কেরামতের। বছর ছাপান্নর কেরামততাঁর মোষের খোঁজে এ দিন কালগাঙ এলাকায় কাঁসাই নদীতে গিয়েছিলেন। তখনই জলের তোড়ে ভেসে যান বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। শুক্রবার রাত পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। ওই প্রৌঢ়ের ছেলে শেখ সেলিম বলেন, “স্থানীয় মানুষের কাছেই বিষয়টি জানতে পারি। পুলিশে সব জানিয়েছি।” স্থানীয় বাসিন্দারা এ দিন নদীতে প্রচুর খোঁজাখুঁজি করেন। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের তরফে তল্লাশি শুরু হবে।
|
আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৫৮ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর আখতার আহমেদ। ছেলে বিদেশ থেকে শুক্রবার ফিরবেন। তাই ভোর-ভোরই ঘুম থেকে উঠে পড়েছিলেন। আচমকা বুকে ব্যথা অনুভব করেন। স্থানীয় নার্সিংহোম থেকে কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ মারা যান। ১৯৮৫ থেকে ২০১০ পর্যন্ত একটানা কখনও কংগ্রেস, কখনও তৃণমূলের টিকিটে জিতে কাঁথি পুরসভার কাউন্সিলর হয়েছিলেন আখতার। ২০১০-এর নির্বাচনে তৃণমূল টিকিট না-দেওয়ায় নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে অবশ্য হেরে গিয়েছিলেন। |