বিদায়ী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব হস্তান্তর ঘিরে জটিলতা পূর্বে
পুরনো চেয়ারম্যানের ক্ষমতা হস্তান্তর ঘিরে প্রশাসনিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদে। সংসদের নতুন চেয়ারম্যান হিসাবে গোপাল সাহুর নাম ঘোষণা হয়েছে। বিদায়ী চেয়ারম্যান ওঙ্কারপ্রসাদ রায় জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকের (পদাধিকার বলে সংসদ-সচিব) মাধ্যমে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন, সেটাই রীতি। কিন্তু ওঙ্কারবাবু ‘নিরাপত্তার অভাব বোধে’র কারণ দেখিয়ে সশরীরে সংসদ অফিসে না এসে পরিদর্শকের কাছে একটিমাত্র ফ্যাক্সবার্তার মাধ্যমে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে চাওয়ার ফলে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সংসদের বহু গুরুত্বপূর্ণ নথিই তাঁর কাছে রয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয় পরিদর্শক।
রাজ্যে পালাবদলের পরে নতুন সরকার গোপালবাবুকে সংসদের নতুন চেয়ারম্যান মনোনীত করে। গত ৯ জুন বিদায়ী চেয়ারম্যান ওঙ্কারবাবু বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে ফ্যাক্সবার্তায় দায়িত্বভার সমর্পণ করেন। পরিদর্শক তাঁকে সমস্ত নথিপত্র দিতে বলেন। আর ওই নথিপত্র দেওয়া নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ওঙ্কারবাবু দাবি করেছেন, “ডাকযোগে নথিপত্রও আমি পরিদর্শকের কাছে পাঠাই। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি। আমিও রিলিজ অর্ডার পাচ্ছি না।” পরিদর্শক রেনুকা মাজির বক্তব্য, “নথিপত্র আমি পাইনি, সে-কথাটাই আমি জেলা প্রশাসন ও রাজ্য শিক্ষা দফতরকে জানিয়েছি।” এই অবস্থায় তৃণমূল শিক্ষাসেলের পক্ষ থেকে শুক্রবার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিস ঘেরাও করা হয়। সেলের জেলা সাধারণ সম্পাদক শিবরাম ভুঁইয়ার অভিযোগ, “আগের চেয়ারম্যান যে ভাবে নথিপত্র না-দিয়ে দায়িত্ব হস্তান্তরে ফ্যাক্সবার্তা পাঠিয়েছেন, তা সরকারি নিয়মবিরুদ্ধ। জেলার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র দেওয়ার পরেই আগের চেয়ারম্যানকে রিলিজ দেওয়া হবে।” ওঙ্কারবাবুর দাবি, “নিরাপত্তার অভাব বোধের কারণেই আমি নিজে যেতে পারিনি। রাজ্যের শিক্ষাসচিবের পরামর্শেই ফ্যাক্সবার্তার মাধ্যমে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছি। নিরাপত্তার ব্যবস্থা হলে অফিসে গিয়েই নথিপত্র দেব।”

পশ্চিমেও নতুন চেয়ারম্যান
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের নতুন চেয়ারম্যান হলেন স্বপন মুর্মু। শুক্রবারই সংসদ অফিসে এসে তিনি দায়িত্ব বুঝে নেন। নতুন চেয়ারম্যানকে পুষ্পস্তবক দিয়ে অভ্যর্থনা জানান কর্মচারীরা। জেলায় আগের বছর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। প্রতিবাদে অবস্থান-বিক্ষোভও হয়। নতুন চেয়ারম্যান স্বচ্ছতার উপরেই জোর দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “আমি সাধারণে বাড়ির ছেলে। কাজ করতে ভালবাসি। স্বচ্ছতা বজায় রেখেই কাজ করব। জেলায় প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে উদ্যোগী হব।” রাজ্যে পালাবদলের পর চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়ান ব্রজগোপাল পড়িয়া। রাজ্য সরকার মেদিনীপুর সদর ব্লকের ধেড়ুয়া হাইস্কুলের শিক্ষক স্বপন মুর্মুকে ওই পদে মনোনীত করে। কোনও দিনই সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন না স্বপনবাবু। শিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দেওয়ার পরে অবশ্য এবিটিএ-এর সঙ্গে যুক্ত হন। জাতীয়তাবাদী সংগঠনে যুক্ত কাউকে কেন চেয়ারম্যান করা হল না, সে নিয়ে তৃণমূলের একাংশে অবশ্য প্রশ্ন উঠেছে।
Previous Story Medinipur Next Story


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.