|
|
|
|
খরাত্রাণের খারাপ চাল ফেরতের নির্দেশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
একে তো গত বছরের খরার চাল বরাদ্দ হয়েছে এক বছর বাদে। যে চাল এসেছে, তা-ও অখাদ্য। গরিব মানুষকে নিয়ে এই ছিনিমিনি আর কত দিন?
নমুনা হিসাবে যে চাল পাঠিয়েছিল অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ নিগম (ইসিএসসি) এবং কনফেড, প্রকৃত বরাদ্দের সময়ে তারা তুলনায় ঢের খারাপ চাল পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ। তাই চাল ফেরৎ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ সম্ভাব্য প্রাপক থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্তারাও। একে চাল পাঠাতে দেরি, তার উপরে নিম্নমানের সরবরাহ নিয়ে শোরগোল পড়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) শুভাঞ্জন দাস বলেন, “জেলায় যে চাল এসেছে, তার বেশ কিছু পরিমাণের মান খুবই খারাপ। তাই তা ফেরৎ দেওয়া হচ্ছে।”
গত বছর খরার সময়েই দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষ যাতে সমস্যায় না পড়েন সে জন্য চাল সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৎকালীন সরকার। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জন্য খরাত্রাণে ৩ লক্ষ ৭২ হাজার কুইন্টাল চাল বরাদ্দ হয়। যার মধ্যে ইসিএসসি-র চাল দেওয়ার কথা ছিল ১ লক্ষ ৬২ হাজার কুইন্টাল ও কনফেডের দেওয়ার কথা ২ লক্ষ ১০ হাজার কুইন্টাল। বিধানসভা নির্বাচনের আগেই সেই নির্দেশিকা জেলায় পৌঁছয়। কিন্তু নির্বাচনী বিধিভঙ্গের কারণ দেখিয়ে চাল-বিলি স্থগিত হয়ে যায়। নিবার্চনের পরে চাল নিয়ে জোর চিঠি চালাচালি শুরু হয়। অবশেষে জেলায় সেই চাল পৌঁছতে শুরু করেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ইসিএসসি চাল দিয়েছে ৩৭ হাজার ৭৫৩ কুইন্টাল। আর কনফেড দিয়েছে ২৪ হাজার ৪৮৬ কুইন্টাল চাল। আর সেই সামান্য চালের মান নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। অতিরিক্ত জেলাশাসকের বক্তব্য, “যাতে দ্রুত গরিব মানুষদের মধ্যে এই চাল বণ্টন করা যায়, সে জন্য তাড়াতাড়ি ফের নতুন করে চাল পাঠাতে বলা হয়েছে। গুণগত মানের দিকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে।” দাবিপত্র। সম্প্রতি সমুদ্রে নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের সন্ধানে ব্যাপক তল্লাশির দাবিতে বুধবার মৎস্যজীবীদের এক প্রতিনিধিদল দেখা করল রাজ্যের নতুন মৎস্যমন্ত্রী আবু হেনার সঙ্গে। গভীর সমুদ্রে যাওয়া মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা ও মৎস্যখটির পরিকাঠামোর উন্নয়নের দাবি জানানো হয়। প্রতিনিধি দলের তরফে দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রণব কর, জলধা মৎস্যখটির সম্পাদক লক্ষ্মীনারায়ণ জানা জানান, মৎস্যমন্ত্রী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
|
|
|
|
|
|