দক্ষিণ কলকাতা
নয়া উদ্যোগ
সমন্বয়ের পুজো
পুজো কমিটিগুলোর হয়রানি এড়াতে এ বার চালু হতে চলেছে ‘সিঙ্গল উইন্ডো’ ব্যবস্থা। পুজোর জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সরকারি দফতরের অনুমতির জন্য আবেদনপত্র একটি নির্দিষ্ট অফিসে জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ। পাশাপাশি পুজোমণ্ডপ সংলগ্ন রাস্তাঘাট উন্নয়ন থেকে আলোর ব্যবস্থা সবই পুলিশি উদ্যোগে করা হবে বলে পুজো কমিটির কর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হল জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে।
পুজোর তিন মাস আগেই আলিপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার আশিটি পুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠক করলেন পুলিশকর্তারা। কলকাতা পুলিশ বা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ অবশ্য এখনও পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে এ ধরনের কোনও বৈঠক করেনি।
কয়েক বছর ধরে খিদিরপুর, বেহালা, ঠাকুরপুকুর, যাদবপুর, কসবা ও অন্যান্য ঘিঞ্জি এলাকার ‘থিম’ নির্ভর পুজোগুলির জনপ্রিয়তা যথেষ্ট ছড়িয়ে পড়েছে। সেই কারণেই ওই সব এলাকায় হওয়া পুজোগুলির উপর বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশকর্তারা জানিয়েছেন, পুরসভা ও বিভিন্ন সরকারি দফতরে অনুমতি নেওয়ার জন্য হয়রান হতে হয় পুজো কমিটির সদস্যদের। দমকল ও বিদ্যুতের সংযোগ-সহ নানা সরকারি-বেসরকারি দফতরে অনুমতিপত্রের জন্য আবেদন করতে হয়। ওই সব দফতর থেকে অনুমোদন পাওয়ার পরেই স্থানীয় থানা পুজো কমিটিগুলিকে পুজোর অনুমতি দিয়ে থাকে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে। তার পরে ওই সব আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এ জন্য প্রাথমিক ভাবে নির্দিষ্ট থানা অথবা পুজো সমন্বয় কমিটির অফিসকে ব্যবহার করা হতে পারে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশের তরফে পুজো কমিটিগুলিকে দেওয়া একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পুজো প্রাঙ্গণ ও সন্নিহিত এলাকায় রাস্তা বা অন্য কোনও উন্নয়নের প্রয়োজন থাকলে তা পুলিশকে আগাম জানাতে হবে। পুজো কমিটিগুলিকে সপ্তাহতিনেকের মধ্যে ওই রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে বলা হয়েছে। সংস্কারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে ওই এলাকার প্রয়োজনীয় উন্নয়নের ব্যবস্থা করবে জেলা পুলিশ।
যে সব পুজোয় দর্শনার্থীর সংখ্যা লক্ষাধিক হয়ে থাকে সেই সব পুজো মণ্ডপে ক্লোজড-সার্কিট টিভি ও মেটাল ডিটেক্টর বসানো বাধ্যতামূলক করে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। মণ্ডপ নির্মাণের ক্ষেত্রে নারকেল দড়ির পরিবর্তে ধাতব তার দিয়ে বাঁশ বাঁধার জন্য পুজো কমিটিগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তবে বৈঠকে দক্ষিণ শহরতলির পুজো মানচিত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে পুলিশের তরফে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন পুজো কমিটির সদস্যরা। সদস্যরা জানান, পুজোর দিন দুই আগে ওই মানচিত্র প্রকাশ করে পুলিশ। সে ক্ষেত্রে ওই মানচিত্র সাধারণ মানুষের কাছে ঠিকমতো বিলি করা যায় না। মানচিত্রের উদ্দেশ্যই বিফলে যায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা বলেন, “এ বছর ঠিক সময়ে পুজো-মানচিত্র প্রকাশ করা হবে।”
Previous Story

Kolkata

Next Story




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.