|
|
|
|
|
|
পূর্ব কলকাতা
জলকষ্ট |
অসমাপ্ত প্রকল্প |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বোরিং হয়ে গিয়েছে। পাইপলাইনও পাতা হয়েছে। কিন্তু এখনও পাম্প বসাতে পারেনি পুরসভা। নেই বৈদ্যুতিক সংযোগও। তাই জলকষ্টের ছবিটা বদলালো না রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার ১৮ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, জলস্তর নেমে যাওয়ায় বাড়ির নলকূপে জল ওঠে না। সরকারি নলকূপগুলিও মাঝেমধ্যেই বেহাল হয়ে পড়ে। সমস্যার সমাধানে হাতিয়ারা-বিবেকানন্দ স্কুলের পাশে পুরসভার পক্ষ থেকে প্রায় ৩০০ বর্গফুটের পাম্পঘর তৈরি করে বোরিং করা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও পাম্প বসানো দূর অস্ৎ, বৈদ্যুতিক সংযোগেরও ব্যবস্থা হয়নি।
বর্তমানে ওই পাম্প ঘরে তালা-বন্ধ করে রাখা হয়েছে। পানীয় জল সরবরাহের জন্য ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষদত্ত পাড়া, বড়বাগান, করবাগান পঞ্চাননতলা এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝেরপাড়া আর মেঠোপাড়ায় (আংশিক) দু’ বছর আগেই পাইপ বসানো হয়েছে। যা আজও অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। |
|
ছবি: অর্কপ্রভ ঘোষ |
স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারে অভিযোগ, বাড়ির নলকূপগুলি থেকে পানীয় জল পাওয়া গেলেও অন্যান্য কাজকর্মের জন্য প্রয়োজনীয় জল পেতে যথেষ্ট সমস্যা হয়। বাসিন্দা রমা মণ্ডল বলেন, “বোরিং করার পর দীর্ঘ দিন পেরিয়ে গেলেও পাম্পটি চালু হল না। পাশের এলাকাগুলিতেও জলের চাপ কম। তাই খুবই সমস্যা হয়।”
• ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের অনিতা বিশ্বাস বললেন, “ওয়ার্ডে ৫৫টি নলকূপ রয়েছে। বিকল নলকূপগুলির মেরামতি করা হচ্ছে। ওয়ার্ডে জনসংখ্যা অনেক বেড়েছে। তুলনায় জলের ব্যবস্থা কম। লাগোয়া অঞ্চলেও পুরসভার পাইপলাইনে জলের চাপ কম। পাম্পটি চালু করার জন্য অর্থ অনুমোদন হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই পাম্প চালু করা যাবে।” ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিপিএমের খোদেজান বিবি বলেন, “নলকূপগুলির গভীরতা বাড়াতে হচ্ছে। পাইপলাইনের জলও আসে না।”
• পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (জল) সিপিএমের লোকনাথ দেব বলেন, “শীঘ্রই বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যাবে। মোটর কেনার অর্থও বরাদ্দ হয়েছে। আশা করি শীঘ্রই পাম্প চালু করা যাবে।” পুরসভার চেয়ারম্যান সিপিএমের তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওই পাম্প চালানোর জন্য বিদ্যুতের সংযোগ নেওয়ার চেষ্টা চলছে। নতুন ট্রান্সফর্মার নিতে হবে। আবেদন করা হয়েছে। পাইপলাইনের কাজও চলছে। আসা করছি শীঘ্রই জল সরবরাহ চালু করা যাবে।” |
|
|
|
|
|