|
|
|
|
|
|
পূর্ব কলকাতা
উদাসীন প্রশাসন |
দূষণের ভ্যাট |
প্রসেনজিৎ পাঠক |
রাস্তার এক পাশে মাটির উঁচু ঢিপি। তার উপরেই ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। আবর্জনা জমে ঢিপির উচ্চতা বেড়েই চলেছে। রাস্তার অন্য পাশে ইমারতি দ্রব্য রাখা আছে। ফলে পথচারীদের দাঁড়ানোর জায়গা নেই।
হচ্ছে যানজটও। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের লোকনাথ মন্দির বাস স্টপের কাছে এ অবস্থা থাকলেও পুর-কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। |
|
ছবি: অর্কপ্রভ ঘোষ |
রাজারহাটের ২১১ নম্বর বাস-রাস্তার উপরে লোকনাথ মন্দিরের পাঁচিল ঘেষে নর্দমা। নর্দমার পাশে একটি ঢিপির উপরে দীর্ঘ দিন ময়লা ফেলা হয়। ময়লা পড়ে ঢিপির উচ্চতা বেড়ে চলেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভা এখানকার ময়লা পরিষ্কার করে না। তা ছাড়া রাস্তার অন্য পাশেও ইমারতি দ্রব্য রাখা থাকে। ফলে রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়ে পড়েছে। মাঝেমধ্যেই যানজট লেগে যায়। কাছের মন্দিরে দর্শনার্থীদের চাপ বাড়লে সমস্যা চরমে ওঠে। গাড়ির চাপ বাড়লে পুলিশকে চিনার পার্ক থেকে জোড়ামন্দিরের দিকে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। পথচারী অশোককুমার বিশ্বাস বলেন, “রাস্তা থেকে এমনিতেই ৪/৫ ফুট উঁচু এই ঢিপি। তার উপরে আবর্জনা জমতে জমতে ক্রমাগত আরও উঁচু হচ্ছে। দূষণ ছড়াচ্ছে। পুরসভার অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
স্থানীয় কাউন্সিলর সিপিএমের দেবাশিস মণ্ডল বলেন, “ভ্যাটের কিছুটা জমি ব্যক্তি মালিকানাধীন। ফলে সাফ করতে সমস্যা হচ্ছে। জমির মালিকদের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। যন্ত্রের মাধ্যমে দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলা হবে।” রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তাপস চট্টোপাধ্যায় বললেন, “কাছেই মন্দির রয়েছে। তাই ময়লা সংগ্রহের জন্য বড় পাত্রের ব্যবস্থা করছি। মানুষের যাতায়াতে যাতে সমস্যা না হয় তা-ও দেখছি।” |
|
|
|
|
|