পূর্ব কলকাতা:লেকটাউন, বারাসাত
সুরাহা কবে
যন্ত্রণার সড়ক
বেশির ভাগ অংশের দীর্ঘ দিন সংস্কার হয়নি। কয়েকটি অংশের খাপছাড়া ভাবে সংস্কার হয়েছে। ফলে বর্ষার শুরুতেই বেহাল হয়ে পড়েছে কেষ্টপুর মেন রোড। এই রাস্তায় ১২সি/২ রুটের বাস ছাড়াও অসংখ্য গাড়ি চলে। অভিযোগ, একাধিক বার জানানো সত্ত্বেও প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি।
ভিআইপি রোডের কেষ্টপুর মোড় থেকে শুরু হয়ে কেষ্টপুর মেন রোড নিউটাউন পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার বেশির ভাগ অংশই কার্যত বেহাল। পিচ উঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। শুধু সমরপল্লি থেকে তিন নম্বর ক্যাম্প পর্যন্ত অংশ কয়েক মাস আগে মেরামতি হয়েছে।
বাকি অংশের অবস্থা শোচনীয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন জোড়াতালি দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ মেরামতি হয় না। এই অবস্থায় চূড়ান্ত নাকাল হচ্ছেন পথচারী, নিত্যযাত্রী ও গাড়িচালকরা। গর্তে বৃষ্টির জল জমলে বোঝা যাচ্ছে না। ফলে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় এক অটোচালক বলেন, “রাস্তার খুব খারাপ অবস্থা। কোনওক্রমে গর্ত এড়িয়ে সাবধানে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে যানজটও হচ্ছে।” রাস্তায় কাদাও হচ্ছে।
অনেকেই এই রাস্তা দিয়ে নিউটাউনে যান। এ ছাড়াও বহু নির্মাণ-সামগ্রী বোঝাই গাড়ি যাতায়াত করে। অভিযোগ, ভারী গাড়ির যাতায়াতের জেরেই রাস্তা দ্রুত খারাপ হচ্ছে। এমন খারাপ অবস্থা যে গাড়িতে বসেও প্রচণ্ড ঝাঁকুনি হচ্ছে। নিত্যযাত্রী মদন মণ্ডলের কথায়: “হাঁটা তো দূর-অস্ৎ এই রাস্তায় গাড়িতে যাওয়াও কষ্টকর। সাইকেল আর মোটরবাইকের মতো দু’চাকার গাড়ির আরোহীদের এই রাস্তায় প্রতি পদে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।” পথচারী স্বপন দাস বললেন, “রাস্তার অবস্থা দীর্ঘ দিন বেহাল। বর্ষায় জল জমে দুর্ভোগ বাড়ছে। দুর্বিষহ যন্ত্রণার মুখে পড়তে হচ্ছে। প্রশাসনের দ্রুত মেরামত করা উচিত।”
এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক সিপিএমের রবীন মণ্ডল বলেন, “আমি নেবারহুড কমিটির চেয়ারম্যান থাকাকালীন এই রাস্তার সংস্কারের জন্য অর্থ দেওয়া হয়েছিল। এখন কী অবস্থা খোঁজ নিয়ে দেখছি।” এলাকার বর্তমান বিধায়ক তথা শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন, “এলাকার উন্নয়নের ব্যাপারে পুরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। এই রাস্তার ব্যাপারেও পুরসভাকে যথাসাধ্য সাহায্য করব।” রাস্তার খারাপ অবস্থার কথা স্বীকার করে রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সিপিএমের তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার করা হবে।”

ছবি: অর্কপ্রভ ঘোষ
Previous Story

Kolkata

Next Story




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.