|
|
|
|
জাহিরের টোটকাতেই সাফল্য বলছেন ইশান্ত |
সংবাদসংস্থা • ব্রিজটাউন (বার্বেডোজ) |
টেস্ট জীবনের সেরা বোলিং করে উঠে ইশান্ত শর্মা ধন্যবাদ জানালেন জাহির খানকে। পাশাপাশি আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতাকেও। ৬-৫৫ বোলিং গড়ের সঙ্গে সঙ্গে মাত্র ২২ বছর বয়সে ১০০ টেস্ট উইকেটের মালিক হয়ে গিয়েছেন ইশান্ত। “ছোট কেরিয়ারে আমি প্রচুর চাপানউতোরের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। আপনি যখন খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তখন আপনাকে কেউ পাত্তা দেবে না,” বাবের্ডোজ টেস্টের তৃতীয় দিন খেলার শেষে বলেছেন ইশান্ত। সঙ্গে যোগ করেছেন, “জাহিরের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ও সব সময় আমার ফিটনেস নিয়ে আমাকে সতর্ক করে গেছে। আমাকে ফিটনেসের উপর জোর দিতে বলেছে। তার আগে আমি কোনও দিন ফিটনেসের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতাম না। এখন বুঝতে পারি, একজন ফাস্ট বোলারের পুরোপুরি ফিট থাকাটা কত জরুরি।”
জাহিরের পরামর্শের পাশাপাশি আইপিএলে বল করেও তিনি প্রচুর উন্নতি করেছেন বলে জানিয়েছেন ইশান্ত। “আগে বল করার সময় অন্য কাউকে নকল করার চেষ্টা করতাম। যার জন্য আমার গতি আর ছন্দ দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ বারের আইপিএলে বুঝতে পারি আমার শরীর কেন ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কী ভাবেই বা আবার সেরে উঠতে পারি,” বলে ইশান্ত আরও যোগ করেছেন, “এতগুলো ম্যাচ খেলা, দেশের কোণে কোণে ট্র্যাভেল করার ধকল থেকে শিখতে পেরেছি অত ঘোরাঘুরির মধ্যেও কী ভাবে ট্রেনিং করতে হয়। কী ভাবে নিজের সেরাটা দিতে হয়।”
টেস্টের পর এ বার এক দিনের ক্রিকেটেও মনপ্রাণ দিয়ে বল করতে চান ইশান্ত। প্রয়োগ করতে চান তাঁর নতুন শেখা টোটকা। “এক দিনের ক্রিকেটে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে আর স্লগ ওভারের ব্যাপারগুলো থাকে বলে খুব বুদ্ধি করে বল করতে হয়। এখন আমি নিজের বোলিংটা ভাল ভাবে বুঝতে পেরেছি। ভারতের এক দিনের দলেও ফিরতে চাই,” বলেছেন ইশান্ত। তাঁর টেস্ট জীবনের সেরা স্পেল নিয়ে ইশান্ত বলছেন, “আমার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্পেল এটা। এক-এক জন ব্যাটসম্যানকে কী ভাবে বল করব, পরিস্থতি এবং বিপক্ষের সঙ্গে কী ভাবে মানিয়ে নেব, এগুলো এখন অনেক ভাল করে বুঝতে পারছি।” |
|
|
|
|
|