|
|
|
|
টুকরো খবর
|
ধোনিদের পাল্টা বিদ্রুপ হার্পারের
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
ধোনিদের আপত্তিতে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টে আম্পায়ারিং করা হচ্ছে না ডারেল হার্পারের। ক্ষুব্ধ হার্পার সে জন্য ধোনির ভারতকে পাল্টা আক্রমণ করতে ছাড়ছেন না। পরিষ্কার বলেছেন, প্রথম টেস্টে তিনি কয়েকটা সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু ভারতীয়রাও ক্রিকেটের স্পিরিট মেনে খেলেননি। সঙ্গে হার্পারের পাল্টা বিদ্রুপধোনিদের জন্য ক্রিকেটের কোনও নিয়মকানুনই প্রযোজ্য হওয়া উচিত নয়!
“আমি মেনে নিচ্ছি, সাবাইনা পার্কে প্রথম টেস্টে ভাল করে ম্যাচ পরিচালনা করতে পারিনি। পরে ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো হিসাব কষে বার করেন, ৯৪ শতাংশ সিদ্ধান্ত আমার ঠিক ছিল। দুবাই অফিস থেকে ওই সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখা হয়েছে,” একটি টিভি চ্যানেলকে বলেছেন হার্পার। সঙ্গে ভারতীয় দলকে হার্পারের বিদ্রুপ, “হরভজন সিংহকে একটা এলবিডব্লিউ দিয়েছিলাম। রিভিউ সিস্টেমের সাহায্য নিলে সিদ্ধান্তটা পাল্টাত। বিশুর একটা নো বলও বুঝতে পারিনি। কিন্তু মাঠে ভারতীয়দের স্পিরিট দেখে ক্যারিবিয়ানরাও বিরক্ত হচ্ছিল।” ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সঙ্গে ম্যাচের সময় তাঁর কথাবার্তা নিয়ে হার্পারের মন্তব্য, “ভাল মুহূর্ত নিশ্চয়ই তৈরি হয়নি।”
|
সেই ওর্তেগার জন্য ঝাঁপাল ডেম্পো
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দলবদলের বাজারে বড়সড় চমক দিতে চলেছে ডেম্পো। আর চমক বলতে একেবারে তিন তিনবারের বিশ্বকাপার! মারাদোনার উত্তরসূরি হিসেবে যাঁকে এক সময় চিহ্নিত করেছিল ফুটবল দুনিয়া, যাঁর জার্সির পিছনেও থাকত দশ নম্বর, সেই আরিয়েল ওর্তেগার জন্য ঝাঁপাল ডেম্পো। মারাদোনার সতীর্থ হিসেবেও যিনি বিশ্বকাপে খেলেছেন। এখন তাঁর বয়স ৩৭ বছর। তবে দরও ওর্তেগা ভালই হেঁকেছেন। ডেম্পোর কাছে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা চেয়েছেন তিনি। সঙ্গে দাবি করেছেন ডেম্পোর মার্চেন্ডাইজের কিছু অংশ। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে ডেম্পোর কোনও মার্চেন্ডাইজের ব্যবস্থা নেই। তবু ডেম্পো কোচ আর্মান্দো কোলাসো আশাবাদী, ওর্তেগাকে শেষ পর্যন্ত তাঁরা তুলে নিতে পারবেন। যদিও ডেম্পোর এই উদ্যোগ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ কিছু দিন আগেই দিল্লিতে কোলাসো বলেছিলেন, বিদেশি ফুটবলারদের বেশি টাকা দেওয়া হচ্ছে। তাই শেষ পর্যন্ত ডেম্পো কী করে, তা নিয়ে এখন আগ্রহ তুঙ্গে। ওর্তেগাকে নিয়ে এর মধ্যেই তুমুল চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে দেশের ফুটবলমহলে। কারণ, ভারতীয় ফুটবলে এত বড় মাপের বিশ্বকাপার আগে কোনওদিন আসেননি। ওর্তেগা তিনটে বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনার জার্সি পেয়েছেন। ’৯৮-এর ফ্রান্স বিশ্বকাপ। ’৯৪ বিশ্বকাপে মারাদোনার সঙ্গে এক ড্রেসিংরুমে ছিলেন, খেলেওছিলেন একটা ম্যাচ। ২০০২ বিশ্বকাপেও খেলেছিলেন, তবে সুইডেন ম্যাচে পেনাল্টি নষ্টের জন্য গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় আর্জেন্তিনা। ক্লাবজীবনেও প্রচুর ওঠাপড়া সহ্য করতে হয়েছে ওর্তেগাকে। ভ্যালেন্সিয়া, ফেনেরবাচের মতো ক্লাবে একটা সময় খেললেও বর্তমানে তাঁর কোনও ক্লাব নেই। শেষ ক্লাব ছিল রিভারপ্লেট। আর্জেন্তিনার হয়ে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ২০১০-এ। মজার ব্যাপার, সেটাও খেলেন সাত বছর পর!
|
ডোপিং বিরোধী সেমিনারে মনোজরা গরহাজির
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
চলতি বছরই ঘরোয়া ক্রিকেটের সময় ডোপিং পরীক্ষার সামনে দাঁড়াতে হবে বাংলার ক্রিকেটারদের। কিন্তু ডোপিং-বিরোধী সেমিনারেই গরহাজির থেকে গেলেন বাংলা অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি সহ বাংলার সিনিয়র ক্রিকেটাররা। রঞ্জি মরসুমে ডোপিং পরীক্ষার সময় যাতে ক্রিকেটারদের কোনও অসুবিধায় না পড়তে হয়, তাই শুক্রবার ডোপিং-বিরোধী সেমিনার ডেকেছিল সিএবি। ছিলেন বোর্ডের অ্যান্টি ডোপিং পরামর্শদাতা ড: ভেস পেজও। সেমিনার শেষে পেজ বলছিলেন, “এ বছর থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটেও ডোপ পরীক্ষা হবে। তাই সেমিনারে ক্রিকেটারদের বোঝানো হয়েছে কোন কোন ওষুধ বর্জন করা উচিত।” কিন্তু ঘটনা হল, দিব্যেন্দু চক্রবর্তী-ঋতম পোড়েলরা ছাড়া সেমিনারে বাংলার ক্রিকেটারদের আর কাউকে তেমন দেখা যায়নি। যা নিয়ে ভাল রকম উষ্মা তৈরি হয়েছে সিএবিতে। কর্তাদের ক্ষোভ, ক্রিকেটারদের জানানো সত্ত্বেও তাঁরা আসেননি। অথচ স্থানীয় ক্রিকেটের কোনও খেলাও ছিল না। সিএবি-র যুগ্ম-সচিব বিশ্বরূপ দে বলেন, “ব্যাপারটা বাধ্যতামূলক না হলেও মনোজ সহ সমস্ত ক্রিকেটারদের জানানো হয়েছিল সেমিনারে থাকতে। যারা দরকার বুঝেছে এসেছে।”
|
ক্রিকেট বোর্ড ভেঙে দিল শ্রীলঙ্কা সরকার
সংবাদসংস্থা • কলম্বো |
জাতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রশাসনে দেশের সরকারের কোনও ভূমিকা থাকবে না, আইসিসি এই ঘোষণা করার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে শ্রীলঙ্কার বর্তমান ক্রিকেট বোর্ড ভেঙে দিল সে দেশের সরকার। নজিরবিহীন এই ঘটনার পিছনে বোর্ডের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। শ্রীলঙ্কা সরকারের পক্ষ থেকে যদিও কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। সরকার নিযুক্ত বোর্ডের অন্তর্বর্তী কমিটি তুলে দিয়ে তার জায়গায় ছ’মাসের জন্য একটি প্যানেল তৈরি করা হয়েছে।
২০১১ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশ হিসেবে প্রায় সাত কোটি ডলার দেনা করেছে শ্রীলঙ্কা বোর্ড। অভিযোগ উঠেছে, অযোগ্য প্রশাসনের জন্যই বোর্ডের এই অবস্থা। গত সাত বছর ধরে শ্রীলঙ্কা বোর্ড চালানোর দায়িত্বে ছিল সরকারের বেছে দেওয়া অন্তর্বর্তী কমিটি। আগামী জানুয়ারিতে আইসিসি-র নতুন নিয়ম অনুযায়ী বোর্ডের নির্বাচন হবে বলে ক্রীড়ামন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে। |
|
|
|
|
|