খেলার প্রসারে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে টাকা তুলবেন ক্রীড়ামন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ব্যারাকপুর |
রাজ্য সরকারের মাথায় বিপুল ঋণের বোঝা। তাই খেলাধুলোর প্রসারে ক্রীড়ামোদী আর নামী খেলোয়াড়দের সঙ্গে নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে অর্থ সংগ্রহের কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন জেলা থেকে বাছাই করে অন্তত ১০০ জন উদ্যমী ফুটবলারকে বেলেঘাটায় সরকারি খরচে রেখে তাঁদের ফুটবলের
খুঁটিনাটি শেখানোর কথাও তিনি ঘোষণা করেন। জঙ্গলমহলে মেয়েদের খেলাধুলোর সম্প্রসার ও স্কুলের পাঠ্যক্রমে খেলা আবশ্যিক করার চেষ্টা হবে বলেও জানালেন ক্রীড়ামন্ত্রী। |
|
টেবিল টেনিসে মগ্ন মদন মিত্র। নৈহাটির এক প্রশিক্ষণ শিবিরে। বিতান ভট্টাচার্য |
শুক্রবার ব্যারাকপুর ও নৈহাটি স্টেডিয়ামের মাঠ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মন্ত্রী। দু’টি মাঠে যথেষ্ট জায়গা থাকা সত্ত্বেও পরিকাঠামোর অভাবে খেলার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় খেলোয়াড় ও এলাকার বাসিন্দারা। সুভাষ চক্রবর্তী ক্রীড়ামন্ত্রী থাকাকালীন শহরতলির বিভিন্ন পুরসভায় স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনা হয়। তার জন্য জমি অধিগ্রহণ হলেও স্টেডিয়ামের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এ দিকে, ভাবী স্টেডিয়াম দেখিয়ে জমি ব্যবসায়ীরা আশপাশের জমি চড়া দামে বিক্রি করতে শুরু করেন। বছরের পর বছর কেটে গেলেও স্টেডিয়াম তো দূর অস্ত্, মাঠগুলোই খেলার উপযোগী করা হয়নি বলে জানান নব নির্বাচিত ক্রীড়ামন্ত্রী। দুপুর সওয়া ১টা নাগাদ ব্যারাকপুরে কল্যাণী এক্সপ্রেসের ধারে রয়্যাল পার্কে স্টেডিয়ামের মাঠে ঢোকার সময় জল-কাদায় ভর্তি রাস্তা দেখে খোদ মন্ত্রীই বিরক্তি প্রকাশ করেন। মদনবাবু বলেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামের মাঠ খেলার উপযোগী করা হবে।
ব্যারাকপুরের নোনাচন্দনপুকুরে একটি সাঁতার প্রশিক্ষণকেন্দ্রে গিয়ে সাঁতারু রাজদীপ রায়কে সংবর্ধনা দেন। এ দিন বিকালে নৈহাটির বিজয়নগরে একটি টেবিল টেনিস প্রশিক্ষণ শিবির ও ভলিবল প্রশিক্ষণ শিবিরেও মন্ত্রী যান। সেখানে দ্বিতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। খেলোয়াড়দের অনুরোধে নিজেও টেবিল টেনিস খেলেন। মন্ত্রী বলেন, “খেলার
জন্য বহু মানুষ টাকা দিতে আগ্রহী। কিন্তু সরকার তো ও ভাবে টাকা সংগ্রহ করতে পারে না।. তাই ছোট ছোট প্রশিক্ষণ শিবিরগুলোকে বলছি, বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা তুলতে হবে। আমিও যাব। কলকাতার নামী খেলোয়াড়, ক্রীড়াপ্রেমীরাও যাবেন।” |
|