মণিলাল ঘটক প্রয়াত
তীতের খ্যাতনামা গোলকিপার মণিলাল ঘটক আর নেই।
পঞ্চাশের দশকের শুরুতে ভারতীয় দলের সরকারি সফরে বেশ ক’বার দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন মণিলালবাবু। বাংলার হয়ে সন্তোষ ট্রফি খেলেছেন অনেকবার। ইস্টবেঙ্গলের পঞ্চাশের সোনার দলের অন্যতম রত্ন ছিলেন তিনি।
শুক্রবার সকালেও যোধপুর পার্কে তাঁর প্রতিবেশী, আর এক কিংবদন্তি চুনী গোস্বামীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল মণিলালবাবুর। দু’জনে এক সঙ্গে স্থানীয় বসেছিলেন। আমায় দেখে হাত নাড়লেন। মর্নিং ওয়াক সেরে এসে শুনলাম, উনি মারা গিয়েছেন।”
চুরাশি বছরের মণিলালের মৃত্যুতে ময়দানে শোকের ছায়া। চুনী বললেন, “প্রথম বার সন্তোষ ট্রফি খেলতে যাওয়ার সময়, উনি ছিলেন বাংলা দলের দ্বিতীয় কিপার। প্রথম কিপার সনৎ শেঠ। জলপাইগুড়ি থেকে তখন দু’জন বড় ফুটবলার দুই বড় ক্লাব মাতাতেন। মোহনবাগানে রুনু গুহঠাকুরতা, ইস্টবেঙ্গলে মণিলাল ঘটক।” অকৃতদার মণিলালবাবুর বয়স হয়েছিল ৮৪।
ইস্টবেঙ্গলে ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৫, টানা সাত বছর খেলেছেন মণিলাল ঘটক। ওই সময়ই ইস্টবেঙ্গল তিনবার কলকাতা লিগ, আই এফ এ শিল্ড পায়। সঙ্গে দু’বার ডুরান্ড কাপ, দু’বার ডিসিএম ট্রফি, একবার রোভার্স কাপ। ১৯৫৩ সালে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে রোমানিয়া ও সোভিয়েত ইউনিয়ন সফরে যান তিনি।
১৯৬২ সালের এশিয়ান গেমসে সোনা জয়ী দলের গোলকিপার প্রদ্যোৎ বর্মন বলছিলেন, “আমরা লাইন দিয়ে মণিলালদার খেলা দেখতে গিয়েছি। তখন দু’ব্যাক সিস্টেমে খেলা হত। গোলকিপারকে অত এগিয়ে খেলতে হত না। মণিলালদা দুটো পোস্টের মাঝখানে দুর্দান্ত ছিলেন। ওই জায়গায় ওঁকে হারানো কঠিন ছিল। খেলার বাইরে উনি গানবাজনা, সেতার নিয়ে থাকতেন।”
গত বছরই ইস্টবেঙ্গল তাঁকে আজীবনের স্বীকৃতি হিসেবে বিশেষ সম্মান দিয়েছিলেন। আজ তিনি ইতিহাস হয়ে গেলেন।
Previous Story Khela Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.