সালগাওকরকে তোপ দাগলেন জাতীয় কোচ |
চোট নিয়ে জেরবার আর্মান্দো |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সিনিয়রদের সঙ্গে জুনিয়রদের মিলেমিশে ম্যাচ ১-১ ড্র। তার মধ্যে আর্মান্দো কোলাসো প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ পাসপোর্ট না থাকায় সালগাওকরের তিন ফুটবলারকে পাচ্ছেন না বলে। পাসপোর্ট তৈরি না থাকায় রকাস লেমারে, খনজেম্বা সিংহ ও গিলবার্ট অলিভেরারা ভারতীয় দলের সঙ্গে মলদ্বীপে প্রস্তুতি ম্যাচে যেতে পারছেন না। রকাস লেমারেকে পাবেন না বলে সালগাওকরকে এক হাত নিলেন কোলাসো। “এটা সম্পূর্ণ ক্লাবেরই ভুল। ওরা কেন খেলোয়াড়দের জাতীয় দলের শিবিরে পাঠাবার আগে তাদের পাসপোর্ট পরীক্ষা করে দেখেনি? এটা দূরদর্শিতার অভাব ছাড়া আর কী?”
শুধু এঁরা তিন জন নন, চোটের জন্য শিবির থেকে আজ ছেড়ে দেওয়া হল আর্মান্দোর নিজের ক্লাব ডেম্পোর তারকা জোয়াকিম আব্রাঞ্চেসকেও। চোট পেয়েছেন ক্লিফোর্ড মিরান্ডা ও ভেলেরিয়ানো রেবেলো। ফলে অন্তত আর একজন খেলোয়াড়কে শিবিরে ডাকতে চান আর্মান্দো। তবে সুব্রত পাল জানিয়ে দিলেন, তিনি ফিট। পরের ম্যাচ থেকেই মাঠে নামতে পারবেন। |
|
জাতীয় শিবিরে সুব্রত পালের পাশে আর এক গোলকিপার কাট্টিমণি। শুক্রবার। -নিজস্ব চিত্র |
আজ সিনিয়র দলে রাজু গায়কোয়াড়, জুয়েল রাজা, শিল্টন ডি’সিলভা, জেজেদের খেলান জাতীয় কোচ। কিন্তু স্টপার রাজু ছাড়া কেউ ভাল খেলেননি। ফলে ভারতীয় সিনিয়র দলের মাঝমাঠ বলে প্রথমার্ধে কিছুই ছিল না। আর জুনিয়র ছেলেরা সেই সুযোগটা নিয়ে প্রথম অর্ধের মাঝামাঝি একটি গোল দেয়। স্নেহাশিসের একটি বাঁক খাওয়ানো কর্নার কিক ডিফেন্ডার সাবিথের কাঁধে লেগে গোলে ঢুকে যায় (১-০)। দ্বিতীয়ার্ধে সিনিয়র দলটাকেই পাল্টে ফেলেন আর্মান্দো। মেহতাব-লালকমল আসায় খেলার রং-ই সম্পূর্ণ পাল্টে যায়। এ সময়ই অ্যান্টনি বারবোজা ওভারল্যাপে উঠে এসে গোল করে যান।
১-১ ম্যাচের পরে আর্মান্দোর মন্তব্য, “মেহতাব, লালকমলদের তো আগেই দেখে নিয়েছিলাম। তাই আজ শিলটন ও জুয়েল রাজাকে প্রথমার্ধে পরীক্ষা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সিনিয়র দলে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে ওদের আর একটু সময় লাগবে। প্রথমার্ধে আমাদের মাঝমাঠের ব্যর্থতায় দল প্রায় দাঁড়িয়েই পড়েছিল। আর পরের অর্ধে মেহতাব-লালকমল দলে আসতেই খেলা দারুণ ধরে নিল।” |
|