মারাদোনা-দুঙ্গার দর্শন অতীত কোপায়
মারাদোনা এবং দুঙ্গাদুই বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের কোচিং-ধারা থেকে সরে এল তাদের দেশ আর্জেন্তিনা ও ব্রাজিল।
কোপা আমেরিকায় দুটো দলের প্রথম একাদশ থেকেই স্পষ্ট, বিশ্বকাপের দলের সঙ্গে কোপার দলের আকাশ পাতাল ফারাক। তরুণদের সুযোগ দেওয়ার ব্যাপারে আরও ফারাক।
আর্জেন্তিনা শনিবার সাতসকালে বলিভিয়ার সঙ্গে যে দল নিয়ে নামছে, তাতে চোখ রাখলে মারাদোনার আমলের মাত্র চার জন। মেসি, তেভেজ, মাসচেরানো ও গোলকিপার রোমেরো। ঠিক এক বছর আগে জুনে মারাদোনার দল বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলেছিল আর্জেন্তিনার সঙ্গে। সেই দলের প্রথম একাদশে থাকা পাঁচ জন ফুটবলার এ বার দলে নেই। স্যামুয়েল, ভেরন, হেইঞ্জি, গুতিরেজ, ডেমিসেলিস। মারাদোনার প্রথম দলে থাকা আরও দু’জনদি’মারিয়া ও হিগুয়াইনের জায়গা কোপায় আপাতত রিজার্ভ বেঞ্চে।
মারাদোনার আমলের রক্ষণ ও মাঝমাঠ একেবারেই পাল্টে গেছে এ বার। যে দুই অভিজ্ঞ তারকাকে মারাদোনা বাদ দিয়েছিলেন, সেই জানেত্তি ও কামবিয়াসোকে বাতিস্তা যে দলে এনেছেন, তাই নয়, প্রথম দলে জায়গা দিয়েছেন। জানেত্তি ১৪১টি ম্যাচ খেলেছেন আর্জেন্তিনার হয়ে। তাঁর মতো এত বেশি ম্যাচ খেলেননি কেউ। জানেত্তির পরে এই দলের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা লোক মাসচেরানো (৬৯)। ফারাকটা বিশাল।
প্র্যাক্টিসে ব্রাজিলের চার তরুণ ভরসা। বাঁ দিক থেকে নেইমার, পাতো, গান্সো এবং রোবিনহো। শুক্রবার। -এপি।
দুঙ্গার আমলে বঞ্চিতরা ফিরে এসেছেন মানো মেনেজেসের আমলে। দুঙ্গার আমলে ব্রাজিল ফুটবল দলের হৃদয় ছিল কাকা। সেই কাকা নেই এ বার। সে বার তরুণ নেইমারকে বাদ দেওয়া নিয়ে তুমুল ঝামেলা হয়েছিল। দুঙ্গা কোনওমতেই তাঁকে নেননি। এ বার সেই নেইমারই ব্রাজিলের এক নম্বর তারকা।
কোপার ব্রাজিল দলে বিশ্বকাপ দলের জুলিও সিজার, লুসিও, মাইকন, রোবিনহো, দানি আলভেস, এলানোরা রয়েছেন। দুঙ্গার মতো রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলেন নতুন কোচ। কিন্তু মানো মেনেজেসের যাবতীয় স্বপ্ন আবর্তিত হচ্ছে তিন তরুণ নেইমার, পাতো ও গান্সোকে নিয়ে। গান্সোকেই বলা হচ্ছে নতুন কাকা। আর মেনেজেস নিজে বলছেন, “পাতো হতে পারে নতুন রোনাল্ডো। সবাই নেইমারের কথা বলছে। কিন্তু পাতোর মধ্যে নায়ক হওয়ার যাবতীয় গুণ রয়েছে।”। ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচ রবিবার ভারতীয় সময় মধ্যরাতে। প্রতিপক্ষ ভেনেজুয়েলাযারা ২ সেপ্টেম্বর কলকাতায় খেলবে মেসি-তেভেজদের সঙ্গে।
গত জুলাইয়েই ব্রাজিলের দায়িত্ব নিয়েছেন মানো। তার পরে ৯টি ম্যাচ খেলেছে ব্রাজিল। জিতেছে ৬টি। হারতে হয়েছে আর্জেন্তিনা ও ফ্রান্সের কাছে। দায়িত্বে এসেই দুঙ্গার দলের মাত্র চার জনকে নিয়েছিলেন মানো। রোবিনহো, আলভেস, থিয়াগো, রামিরেস। তার পরে তিনি লুসিও, সিজার, মাইকনদের ফিরিয়েছেন। দেখার ব্যাপার, দলের খেলার স্টাইলে কতটা বদল ঘটাতে পেরেছেন। সম্প্রতি নিজেদের মাঠে ব্রাজিল হারাতে পারেনি নেদারল্যান্ডসকে। প্রশ্ন উঠেছে, বড় দলের সামনে কি ভেঙে পড়ছে ব্রাজিল?
ছিয়াশির বিশ্বকাপে মারাদোনার সতীর্থ বাতিস্তা কোচ হয়ে আর্জেন্তিনাকে অলিম্পিক সোনা দিয়েছিলেন বেজিংয়ে। দুটো অলিম্পিক সোনা পেলেও আর্জেন্তিনা ১৯৯৩ সালের পরে কোপা জেতেনি। মানে ১৮ বছর বিশ্বকাপ বা কোপা নেই। বাতিস্তা কোচ হয়ে বিশ্বকাপ জয়ী স্পেনকে ৪-১ হারিয়েছিলেন। ব্রাজিলকে হারান মেসির গোলে। যে ব্রাজিল ইদানীং ঘনঘন আর্জেন্তিনাকে হারাত।
এ সব দেখেই আর্জেন্তেনীয়রা বুক বেঁধেছেন আশায়। মারাদোনা যা পারেননি, তা করে দেখাবেন বাতিস্তা। মেনেজেস তা হলে কী করবেন?
আজ কোপায়
আর্জেন্তিনা:বলিভিয়া
(সকাল ৬:১৫)
কলম্বিয়া:কোস্টা রিকা
(রাত ১২:০০)
Previous Story Khela Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.