| ক্যাচ নিয়ে বিতর্ক |
| ভারতকে টানলেন সেই দ্রাবিড়-লক্ষ্মণ |
| সংবাদসংস্থা • বার্বেডোজ |
| ফের ক্যাচ নিয়ে বিতর্ক। এ বার আলোচ্য রাহুল দ্রাবিড়। এ বার অবশ্য অঘটন না ঘটে লাভ ভারতের। লাঞ্চের এক ঘণ্টা পরে অভিনব মুকুন্দকে (৪৮) ফেরান এডওয়ার্ডস। চা-বিরতির পর দ্রাবিড়কে (৫৫)। তার আগে অবশ্য ভিত গড়ে দিয়েছেন তিনি। ভারত ১৮০-৩। লক্ষ্মণ দাঁত কামড়ে ৪২ রানে ক্রিজে। সঙ্গী কোহলি (৮ ব্যাটিং)। সব মিলিয়ে ধোনিরা এগিয়ে ১৯১ রানে, হাতে সাত উইকেট। মনে করা হচ্ছে, ম্যাচ জেতার জন্য অন্তত ২২৫ থেকে ২৫০ রান হাতে থাকা দরকার। |
 |
| ক্যাচ নিয়ে আবেদনের পর আম্পায়ার গোল্ডের সঙ্গে রাহুলের কথা। -এপি |
| সকালে অবশ্য নাটক দ্রাবিড়ের ক্যাচ নিয়ে। বৃষ্টির পরে লাঞ্চের আগে খুব বেশিক্ষণ ব্যাট করার কথা ছিল না ভারতের। মুরলী বিজয় (৩) রামপলের বলে ফিরলেও অভিনব মুকুন্দকে সঙ্গে নিয়ে সাবাইনা পার্কে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসের মতোই ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসত্রয়ীকে সামলাচ্ছিলেন রাহুল। ফ্লিক করতে গিয়ে বল মিড উইকেটে জমা দিয়ে ক্রিকেটজীবনে বহুবার আউট হয়েছেন দ্রাবিড়। আজও ৯ রানের মাথায় ডারেন সামির বলে ফ্লিক করতে গিয়ে চিরাচরিত দুর্বলতাবশত বল উঠে গিয়েছিল মিড উইকেটের দিকে। সামনে ঝাঁপিয়ে কঠিন ক্যাচ ধরার আবেদন করেছিলেন বারাথ। আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন। টিভি রিপ্লে দেখে পরিষ্কার হচ্ছিল না ক্যাচটা নিখুঁত ভাবে নেওয়া হয়েছে কি না। আম্পায়ার গোল্ড প্রথমে কথা বলেন লেগ আম্পায়ারের সঙ্গে, রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গেও তাঁকে অনেকক্ষণ কথা বলতে দেখা যায়। অন্য আম্পায়ার আসাদ রউফকে দেখা যায়, ঘন ঘন ওয়াকিটকিতে তৃতীয় আম্পায়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফিল্ডাররা এক জোট হয়ে তখন দাঁড়িয়ে। সিদ্ধান্ত নিতে প্রায় দীর্ঘ পাঁচ মিনিট মতো সময় নেন আম্পায়াররা। এবং শেষ পর্যন্ত ‘বেনিফিট অব ডাউট’ যায় রাহুলের পক্ষে। ওই সময় দ্রাবিড় ফিরলে কিন্তু লাঞ্চের আগেই ভারতীয় ইনিংসে ধস নামতে পারত। |
 |
| ইশান্তই লড়াইয়ে ফেরালেন ধোনির টিমকে।–এএফপি |
সাবাইনা পার্কে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৬ রানে স্লিপে দ্রাবিড়ের সহজ ক্যাচ ফেলে দিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক সামি। সেই ইনিংসে ম্যাচ জেতানো ১১২ করে যান দ্রাবিড়। এই টেস্টে প্রথম ইনিংসে দ্রাবিড়কে অল্প রানে ফিরিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ফের সামি দুর্ভাগ্যের শিকার। যথারীতি মাত্র দুই নম্বর টেস্টে নামা মুকুন্দকে সঙ্গী করে ভারতীয় ইনিংসকে টানলেন দ্রাবিড়। স্ট্রোক খেলার ব্যাপারে সাবলীল দেখাচ্ছিল মুকুন্দকে। ৪৮ করে অবশ্য এডওয়ার্ডসের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হন। দ্রাবিড়ও কাট করতে গিয়ে প্রথম স্লিপের হাতে বল তুলে দেন। বরং পরপর সুযোগ পেয়েও চূড়ান্ত ব্যর্থ মুরলী বিজয়। সকালে রামপলের বলে ভুল শট বাছাই হিসেবে ড্রাইভ করতে গিয়ে ফেরেন বিজয় (৩)।
|
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ভারত ২০১ ও ১৮০-৩ (রাত দু’টো পর্যন্ত) (মুকুন্দ ৪৮, দ্রাবিড় ৫৫, লক্ষ্মণ ব্যাটিং ৪২), ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৯০।
|
|
