রাজ্যে পালাবদলের পরে দ্রুত বদলে যাচ্ছে রাজনৈতিক সমীকরণ। একদা ‘লালদুর্গ’ পশ্চিম মেদিনীপুরে কোণঠাসা সিপিএম। এই অবস্থায় চন্দ্রকোনা পুরসভার ক্ষমতা থেকেও সিপিএমকে সরিয়ে দখল নিল তৃণমূল। আগেই সিপিএমের পুরপ্রধান অরুণ সাহার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে কয়েক জন নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থনে সেই প্রস্তাব পাস করিয়ে নিয়েছিল তৃণমূল। শুক্রবার নতুন পুরপ্রধান নির্বাচনের সভা ছিল। অন্য নাম প্রস্তাবিত না হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই নতুন পুরপ্রধান হলেন তৃণমূলের রামপদ কামিল্যা। ঘাটাল মহকুমায় এর ফলে ৫টি পুরসভার মধ্যে একমাত্র ক্ষীরপাই ছাড়া বাকি ৪টিতেই ক্ষমতাসীন হল তৃণমূল। পুরপ্রধান হয়ে রামপদবাবু বলেন, “রাস্তা, জল ও নিকাশির সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হবে পুরবোর্ড। প্রাচীন মন্দিরগুলিরও সংস্কার হবে।” |
গত বছর পুরভোটে চন্দ্রকোনার ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে সিপিএম পায় ৪টি আসন। সিপিএম সমর্থিত নির্দলরা ৩টি এবং তৃণমূল পায় ৫টি আসন। বিধানসভার ফল ঘোষণার পরে ৩ নির্দল কাউন্সিলরই শিবির পাল্টে তৃণমূলকে সমর্থন করেন। শুক্রবার নতুন পুরপ্রধান নির্বাচনে পুরভবনে এসেছিলেন ঘাটালের মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারী। বিদায়ী পুরপ্রধান এলেও সিপিএমের অন্য ৩ কাউন্সিলর আসেননি। এ দিন পুরভবনের সামনে সভা করে তৃণমূল। সেখানে যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আগের বছর পুরভোটেই চন্দ্রকোনা পুরসভায় আমরা ক্ষমতায় আসতাম। কিন্তু আমাদের জোট ঠিকঠাক না-হওয়ায় সন্ত্রাস চালিয়ে বোর্ড দখল করেছিল সিপিএম। ক্ষমতায় আসায় আমাদের দায়িত্ব বেড়ে গেল।” |