|
|
|
|
জঞ্জাল জমছে ইংরেজবাজারে |
নিজস্ব সংবাদদাতা• মালদহ |
ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে সমস্যার জেরে টানা চারদিন ধরে বন্ধ রয়েছে মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার জঞ্জাল সরানোর কাজ। ওই ঘটনার জেরে মালদহ শহর ভরে গিয়েছে জঞ্জালে। জমা জঞ্জালের দুর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন বাসিন্দারা। কিন্তু জঞ্জাল কোথায় ফেলা হবে তা ঠিক করতে না-পারাতে প্রতিদিন শহরের জঞ্জাল সরানোর কাজই বন্ধ হয়ে পড়েছে। পুর চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরি আশ্বাস দিয়েছেন, ২-৩ দিনের মধ্যেই জঞ্জাল ফেলার সমস্যা মিটে যাবে। যদিও পুর চেয়ারম্যান আদৌ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারবেন কি না তা নিয়ে সংশয়ে পুরসভার বিরোধী কাউন্সিলররা। ১৯৭২ সাল থেকে মালদহ শহরের সমস্ত জঞ্জাল শহরের পশ্চিম প্রান্তের চন্দন পার্ক লাগোয়া মালদহ-মানিকচক রাজ্য সড়কের পাশে ফেলা হত। বছর দেড়েক আগে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধা দেওয়ায় সেখানে জঞ্জাল ফেলা বন্ধ করে দিতে হয় পুর কর্তৃপক্ষকে। এরপর থেকেই শহরের জঞ্জাল ফেলার নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষকে প্রতিনিয়ত সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। |
|
ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়। |
কখনও নিমাইসরাই, কখনও কাজীগ্রাম, কখনও যদুপুর এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’পাশে জঞ্জাল ফেলে শহর পরিস্কার রাখার কাজ কোনও মতে সারা হচ্ছিল। শেষে গত একমাস ধরে সাদুল্লাপুরের কাছে একটি গর্তে জঞ্জাল ফেলা হচ্ছিল। মশা মাছির উপদ্রব বেড়ে গিয়েছে অভিযোগ করে এ বার তাতেও সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা বাধা দেওয়ায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে পুর কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন।পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন ইংরেজবাজার পুরসভার কর্মীদের শহর থেকে প্রায় ১৫০ টন করে জঞ্জাল সরাতে হয়। চারদিন ধরে সেই কাজ বন্ধ থাকায় শহরের প্রতিটি রাস্তা ও ওর্য়াডে স্তূপাকারে জঞ্জাল পড়ে। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, জঞ্জাল ফেলার বিকল্প জায়গা খোঁজা হচ্ছে। ৮০-৯০ বিঘা জমি লাগবে। জমি কেনার ৫০ শতাংশ টাকা পুরসভা দেবে। ৫০ শতাংশ টাকা রাজ্যের পুর ও নগরন্নোয়ন দফতর দিতে রাজি হয়েছে। শহরের জঞ্জাল থেকে বিদ্যুৎ তৈরির জন্য রাজ্যের অপ্রচলিত শক্তি দফতরের মন্ত্রী এবং আমেরিকার একটি সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে। ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরি বলেন, “দ্রুত জমি খুঁজে বার করার চেষ্টা হচ্ছে। আমজামতলার কাছে একটা জমি পেয়েছি।”ইংরেজবাজার পুরসভার বিরোধী দলনেতা শুভদীপ সান্যাল বলেন, “জঞ্জাল ফেলার জায়গা নিয়ে পুরসভার চেয়ারমান রাজনীতি করছেন। কোটি টাকা দিয়ে নিজের কাকার খাস জমি কিনে চেয়ারম্যান সেখানে জঞ্জাল ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছেন। আমরা সেই চক্রান্ত রুখে দিয়েছিলাম। জঞ্জাল ফেলার জন্য আমরা পুরসভাকে কয়েকটি জায়গা দেখিয়েছি। কিন্তু সেই জায়গা চেয়ারম্যানের পছন্দ হয়নি। এখন শহরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|