দীর্ঘদিন ধরে উলুবেড়িয়া শহর থেকে ৫৮ গেট পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার রাস্তাটির অবস্থা শোচনীয়। পুরোটাই খানাখন্দে ভরা। বৃষ্টিতে সেই খানাখন্দ ডোবার চেহারা নিয়েছে। পথচারী থেকে শুরু করে বিভিন্ন যানবাহনের চালকেরা দুর্ভোগে পড়ছেন। ৫৮ গেট হাওড়া জেলার গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র হওয়া সত্ত্বেও পূূর্ত (সড়ক) দফতর রাস্তাটির পূর্ণাঙ্গ সংস্কারে উদ্যোগী হচ্ছে না বলে অভিযোগ ওই এলাকার বাসিন্দাদের।
|
রাস্তাটির আমূল সংস্কার শেষ কবে হয়েছে, তা মনে করতে পারেন না ওই এলাকার বাসিন্দারা। প্রতি বছর বর্ষায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়। পূর্ত (সড়ক) দফতরের পক্ষ থেকে ইট বা পিচ দিয়ে সেই সব গর্ত ঢাকা হয় ঠিকই, কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই ইট বা পিচের আস্তরণ উঠে যায়। এ বারেও বর্ষা শুরুর কিছু দিন আগে গর্ত ভরাট করা হয়েছিল। কিন্তু দু’সপ্তাহের বৃষ্টিতে ফের বেহাল দশা হয়েছে রাস্তাটির। বিশেষ করে কালীনগর-চৌরাস্তা, পালপাড়া, বাগান্ডা, মোহিনী মোড় বা বেলাড়ির মতো এলাকাগুলির বাসিন্দারা ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন।
প্রতিদিন এই রাস্তায় চারটি রুটের বাস, অটোরিকশা, ট্রেকার-সহ অন্য যানবাহন চলে। চালকেরা গাড়ি চালাতে নাজেহাল হন। কমলপুর-বারাসত রুটের বাসচালক শ্যামল বাগ বলেন, “আমার গোটা রুটে এর চেয়ে খারাপ রাস্তা আর নেই।” অটোচালক পুষ্পেন্দু হালদার বলেন, “এখানে গর্তের সংখ্যা এত বেশি যে তা কাটানোর কোনও উপায় নেই।”
কেন রাস্তাটির পূর্ণাঙ্গ সংস্কার হচ্ছে না? রাজ্য পূর্ত (সড়ক) দফতরের মুখ্য বাস্তুকার গোবিন্দ ভৌমিক বলেন, “বর্ষা আসার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রাস্তায় গর্ত তৈরি হয়েছে। ওই সব গর্ত জরুরি ভিত্তিতে বুজিয়ে দেওয়ার জন্য দফতরের সংশ্লিষ্ট নির্বাহী বাস্তুকারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উলুবেড়িয়ার ওই রাস্তাটির বিষয়ে হাওড়া বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন, তার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।” |