|
|
|
|
ত্রিপুরায় সীমান্ত-গ্রামে ফের জঙ্গি কবলে ৬ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় আবার সক্রিয় হয়ে উঠছে এনএলএএফটি (বিশ্বমোহন গোষ্ঠী) জঙ্গিরা। বুধবার মধ্যরাতে সশস্ত্র এই জঙ্গিরা ধলাই জেলার নতুনবাজার মহকুমার অন্তর্গত উজানবাড়ির রিয়াংপাড়া থেকে ছ’ জনকে অপহরণ করেছে। টানা তল্লাশি চালিয়েও অপহৃতদের সন্ধান এখনও মেলেনি। সন্দেহ করা হচ্ছে, জঙ্গিরা অপহৃতদের সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে গিয়েছে। রাজ্যের গ্রাম ও পাহাড়ি অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীকে আরও বেশি করে সতর্ক থাকতে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের নির্দেশ জারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই ঘটনা প্রমাণ করে দিল ত্রিপুরী জঙ্গিরা কতটা বেপরোয়া হয়েছে।
বুধবার মধ্য রাতে জনা পাঁচেক সশস্ত্র জঙ্গি রিয়াংপাড়ায় কুলেন্দ্র রিয়াংয়ের বাড়িতে এসে হাজির হয়। বাড়ি মেরামতির কাজ চলছে বলে কুলেন্দ্রর বাড়িতে ছিলেন চার শ্রমিক খগেন্দ্র রিয়াং (২৬), বিপদজয় রিয়াং (৬০), করণজয় রিয়াং (৫২) ও নবজয় রিয়াং (৩৫)। জঙ্গিরা অন্ধকারে পথ হারিয়ে ফেলেছে বলে জানিয়ে কুলেন্দ্রদের সীমান্তবর্তী এলাকা ধৈন্যবাড়ির পথ দেখিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে। পথচিনিয়ে দেওয়ার অছিলায় ওই পাঁচজন ছাড়াও রাস্তা থেকে যুগেন্দ্রপাড়ার গুলমণি চাকমাকেও (২৩) তারা তুলে নেয়। পরে স্বমূর্তি ধরে কুলেন্দ্র রিয়াং সহ মোট ছ’ জনকেই জঙ্গিরা অপরহণ করে নিয়ে যায়। গ্রামবাসীরা নতুনবাজার থানায় গিয়ে অপহরণের ঘটনাটি জানান।
এখনও পর্যন্ত অপহৃতদের কোনও খোঁজ নেই। সীমান্তবর্তী গ্রামে জঙ্গিদের চাঁদার জুলুম ক্রমশই বাড়ছে। পুলিশের অনুমান, গ্রামবাসীদের কাছ থেকে ঠিক মতো টাকাপয়সা আদায় করতে পারছে না বলেই এই অপহরণ। ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করাই জঙ্গিদের উদ্দেশ্য। কিছু দিন আগে সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় জুম চাষ করতে গিয়ে জনাপাঁচেক গ্রামবাসী অপহৃত হয়েছিলেন। এনএলএফটি’র জঙ্গিরা সীমান্ত পেরিয়ে তাদের নিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশে। অপহৃতদের ২-৩ জন ছাড়া পেয়ে চলে এসেছেন বলে পুলিশ জানায়।
গত সোমবারই কাঞ্চনপুরে আত্মসমর্পণ করেছিল বিশ্বমোহন গোষ্ঠীরই পাঁচ জঙ্গি। কিন্তু তার পরেই ত্রিপুরা সশস্ত্র পুলিশের দু’টি ক্যাম্প থেকে অল্প্য দূরেই এই অপহরণ-কাণ্ডে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। |
|
|
|
|
|