|
|
|
|
উত্তরপ্রদেশে অজিতকে পাশে পেতে চান রাহুল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
মায়াবতীর বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলনের পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্তরপ্রদেশে নতুন শরিকের সন্ধানে নেমে পড়লেন রাহুল গাঁধী। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিংহ আজ বলেন, সপা, বসপা ও বিজেপি ছাড়া যে কোনও ছোট আঞ্চলিক দলের সঙ্গে জোট গড়ার লক্ষ্যে খোলা মন নিয়ে চলছে কংগ্রেস। এ ব্যাপারে রাহুল গাঁধীর ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জাঠ নেতা অজিত সিংহের রাষ্ট্রীয় লোকদলের সঙ্গেই মূলত যোগাযোগ রাখছেন রাহুল। অজিত সিংহের পুত্র জয়ন্তর সঙ্গেও তাঁর কথা চলছে। তবে অজিত এখনও পিছলেই বেড়াচ্ছেন।
কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যখন রদবদলের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে, তখন অজিত সিংহের সঙ্গে রাহুলের আলোচনা তাৎপর্যপূর্ণ। কেন না অজিত বা তাঁর পুত্র জয়ন্তকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সামিল করে উত্তরপ্রদেশে রফা করতে পারে কংগ্রেস। কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, রফার জন্য অজিত সিংহকে চাপে ফেলে দিয়েছে কংগ্রেস। কারণ তাঁর ভোটব্যাঙ্ক পশ্চিম উত্তরপ্রদেশেই মায়াবতীর বিরুদ্ধে কৃষকদের নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন রাহুল। তাতে অজিত সিংহরা কিছুটা অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগছে বলে কংগ্রেসে ধারনা।
তবে অজিত সিংহ এখনও কংগ্রেসের জালে ধরা না দিয়ে সব বিকল্প খোলা রেখে চলছেন। উত্তরপ্রদেশে সপা নেতা মুলায়ম সিংহের সঙ্গে যেমন তিনি যোগাযোগ রাখছেন, তেমন কেন্দ্রে তথাকথিত তৃতীয় ফ্রন্টের জন্য আজ চেন্নাই গিয়ে তিনি জয়ললিতার সঙ্গে দেখা করেছেন।
উত্তরপ্রদেশে কৃষকদের অসন্তোষকে মায়াবতী সরকারের বিরুদ্ধে বড় অস্ত্র করতে রাজ্যে কৃষক মহাপঞ্চায়েত করার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন রাহুল। জানিয়েছিলেন, জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ভাট্টা পারসোল গ্রামেই হবে মহাপঞ্চায়েত। কিন্তু রাজ্য সরকার জানিয়েছে, শুধু শহরাঞ্চলেই মহাপঞ্চায়েত করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। এই অবস্থায় দিগ্বিজয় সিংহ আজ বলেন, “৯ জুলাই মহাপঞ্চায়েত হচ্ছেই। তা সম্ভবত নয়ডায় করা হবে।” মায়াবতী যে ভাবে রাহুল গাঁধীর সভায় বাধা দিচ্ছেন, কংগ্রেস তাতে খুশি। কারণ এর ফলে বার্তা যাচ্ছে যে রাজ্যে কংগ্রেসকেই মুখ্য বিরোধী দল হিসাবে মেনে নিচ্ছে শাসক দল। |
|
|
|
|
|