|
|
|
|
ফারবিশগঞ্জে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বললেন রাহুল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
ফারবিশগঞ্জে পুলিশের গুলিচালনার ঘটনায় হতাহতের পরিবারের সঙ্গে আজ দেখা করলেন রাহুল গাঁধী।
আজ সকাল এগারোটা নাগাদ কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী দিল্লি থেকে বিশেষ বিমানে পূর্ণিয়ায় আসেন। সেখান থেকে সড়কপথে ফারবিশগঞ্জের ভজনপুর এলাকায় যান তিনি। সেখানে প্রায় একঘণ্টা ধরে হতাহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। ঘুরে দেখেন স্টার্চ কারখানার বিতর্কিত সেই জমিটিও। সঙ্গে ছিলেন বিহার প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি মহবুব আলি কৌসর, কংগ্রেসের মুখপাত্র শাকিল আহমেদ খান এবং বিহার যুব কংগ্রেসের সভাপতি ললন যাদব।
যদিও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পরে রাহুল সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি। তবে পরে কংগ্রেসের মুখপাত্র শাকিল আহমেদ খান বলেন, “পুলিশের গুলিতে নিহত পরিবারের সদস্যরা তাঁদের দুর্দশার কথা রাহুলকে জানিয়েছেন। প্রয়োজনে আহতদের দিল্লির এইমসে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন বলে তিনি কথাও দিয়েছেন। পুলিশের অত্যাচারে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি রাহুলের কাছে ন্যায়বিচার চেয়েছে। রাহুল কথা দিয়েছেন, তাঁদের ন্যায়বিচারের ব্যবস্থা করবেন।” |
|
ফারবিশগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহতদের বাড়িতে যাচ্ছেন রাহুল গাঁধী। শুক্রবার। মোহন মাহাতো |
পরে রাহুল গাঁধী কারখানার বিতর্কিত জমিটি দেখতে গেলে সেখানে কর্মরত মজদুরেরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। রাহুলের কাছে তাঁরা এলাকার একশো দিনের কাজ নিয়ে নানা অভিযোগ করেন। রাহুল তাঁদের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। গ্রামবাসীরা রাহুলের কাছে একটি দাবিপত্রও পেশ করেছেন বলে শাকিল জানিয়েছেন।
তবে আজ রাহুল গাঁধীর ফারবিশগঞ্জ সফরের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলের মুখপাত্র রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, “রাহুল ফারবিশগঞ্জে যাচ্ছেন। অথচ ওঁর নাকের ডগায় রামলীলা ময়দানে পুলিশ লাঠি চালাল। তাঁদের সঙ্গে রাহুল দেখা করলেন না।” উল্লেখ্য, গত ৩ জুন একটি স্টার্চ সংস্থার রাস্তা তৈরিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় আরারিয়ার ফারবিশগঞ্জে। রাস্তা তৈরির জন্য একটি এলাকা পাঁচিল দিয়ে ঘেরা হচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই সড়কটি আগে থাকতেই তাঁরা ব্যবহার করেন। রাস্তাটি ঘিরে দেওয়ার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে পাঁচিল ভাঙতে শুরু করেন। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হঠাতে গেলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ গুলি চালালে এক শিশু-সহ অন্তত চার জনের মৃত্যু হয়। |
|
|
|
|
|