|
|
|
|
নীরজ হত্যায় মুক্ত অভিনেত্রী, উঠছে প্রশ্ন |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
নীরজ গ্রোভার হত্যা মামলায় মুক্তি পাচ্ছেন, আবার রামগোপাল বর্মার ছবিতে অভিনয়ের সুযোগও মিলছে কন্নড় অভিনেত্রী মারিয়া সুসাইরাজের। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। তিন বছর ধরে আইনি লড়াই চালিয়ে আসা নীরজের বাবা অমরনাথ গ্রোভার প্রশ্ন তুলেছেন, “মারিয়া খুনি। কী ভাবে তাকে ছাড় দেওয়া হল?”
এ দিন টিভি কর্তা নীরজের হত্যা মামলায় মারিয়াকে তিন বছর এবং তাঁর প্রেমিক প্রাক্তন নৌসেনা অফিসার এমিল জেরোমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে মুম্বই দায়রা আদালত। ইতিমধ্যেই তিন বছর কারাবাস করেছেন ওই অভিনেত্রী। ফলে মারিয়ার মুক্তি পাওয়া সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি ছবি করেছেন রামগোপাল বর্মা। এ দিন রায় শোনার পর রামগোপাল সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট টুইটারে লেখেন, ‘মারিয়া অভিনেত্রী হিসেবে বিখ্যাত হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু খুনি বলেই পরিচিতি পেয়েছেন। এই দাগ মোছা জরুরি। তাই তাঁকে অভিনয়ের সুযোগ দিতে চাই।’ |
|
শুক্রবার আদালতের পথে মারিয়া সুসাইরাজ। - পিটিআই |
আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডে জেনেবুঝে সহযোগিতা করেছেন মারিয়া। তাঁর প্রেমিক এমিল যদি খুনও করে থাকে, নীরজের দেহ টুকরো টুকরো করে প্রমাণ নষ্ট করার কাজে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। দীর্ঘ সময় ধরে ঠাণ্ডা মাথায় মারিয়া এই বীভৎস কাজে এমিলের সঙ্গে থেকেছেন। তার জন্য আরও গুরুতর শাস্তি কেন তিনি পাবেন না। বিচারক জানিয়েছেন, আদালতে যে সব তথ্যপ্রমাণ পেশ করা হয়েছে, তাতে এমিলকে ‘অনিচ্ছাকৃত খুন’-এর চেয়ে গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত করা যাচ্ছে না। পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ জোগাড়ে ব্যর্থতার জন্য পুলিশের তদন্তকারী দলকেও দুষছেন অনেকে।
গতকালই আদালত মারিয়াকে ‘খুনের প্রমাণ লোপাট’-এর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে। নীরজের বাবা অমরনাথ গ্রোভার এবং আত্মীয় ও বন্ধুরা রায়ে চরম অসন্তুষ্ট। অমরনাথ বলেন, “মারিয়া ও জেরোমের কেন আলাদা আলাদা শাস্তি হল বুঝতে পারছি না। দু’জনে মিলেই আমার ছেলেকে কুপিয়ে খুন করেছিল।” আজ শাস্তি ঘোষণার পরে কার্যত ভেঙে পড়েন অমরনাথ ও নীরজের মা নীলম। তিন বছর ধরে লখনউ থেকে মুম্বই আসাযাওয়া করে তাঁরা মামলা চালিয়ে গিয়েছেন। এ দিন বাবা বলেন, “আমরা ন্যায়বিচার পেলাম না। আমার ছেলেকে পরিকল্পিত উপায়ে খুন করা হয়েছে। তার পরে যে ভাবে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে, আমরা আমাদের ছেলের শেষকৃত্যটুকুও করতে পারিনি। ৪৬ জন সাক্ষ্য দেওয়ার পরেও আদালত খুনের প্রমাণ পেল না! ছাড় পেয়ে গেল খুনিরা।”
সরকারি কৌঁসুলি জানিয়েছেন, আসামিদের আরও গুরুতর শাস্তি চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হবে। পুলিশও এই রায়ে সন্তুষ্ট নয়। তিন বছরে এই প্রথম সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলে নীরজের মা নীলম বলেছেন, “আমরা এখানেই ছেড়ে দেব না। ছেলে খুনের বিচার চেয়ে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।” |
|
|
|
|
|