|
|
|
|
তফসিলি জাতি-উপজাতির জন্য বিশেষ আদালত হবে বিহারে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের মামলা দ্রুত নিস্পত্তির জন্য শীঘ্রই বিহার সরকার বিশেষ আদালত গঠন করবে। রাজ্য পুলিশের সিআইডি বিভাগের এক কর্মশালায় কাল এ কথা জানান রাজ্যের তফসিলি জাতি-উপজাতি উন্নয়ন মন্ত্রী জিতেন রাম মাঝি। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে এ ধরনের আদালত গড়ার জন্য ইতিমধ্যেই বিস্তারিত প্রস্তাব এসেছে। আমরা খুব দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।”
শুধু বিশেষ আদালত গড়ার কথা ঘোষণাই নয়, রাজ্যে তফসিলি জাতি-উপজাতি আইনের অধীনে করা মামলা যে ভাবে বিভিন্ন থানায় ফেলে রাখা হয়েছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই আইনে করা অভিযোগে এখনও পর্যন্ত চার্জশিটই পেশ করা হয়নি। সোজা কথায়, তফসিলি জাতি-উপজাতি আইনে করা মামলার কোনও বিচারই হয়নি। সারা দেশে এ ধরনের মামলায় বিচার হওয়ার শতকরা হার যেখানে ৩৭ শতাংশ সেখানে বিহারে তা মাত্র ১৬ শতাংশ।” এর পরে রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের মন্ত্রী বলেন, “আপনারা যাঁরা পুলিশের উচ্চপদে রয়েছেন, তাঁদের অবিলম্বে বিষয়টি দেখা উচিত এবং পরিস্থিতি উন্নতি ঘটানো উচিত।” মন্ত্রী বলেন, “অনেক ক্ষেত্রেই আমি জানতে পেরেছি, এই আইনে অভিযোগ নিয়ে আসা লোকজনের সঙ্গে থানায় ঠিকমতো ব্যবহার করা হয় না। এমনকী, অনেক ক্ষেত্রেও মামলাও দায়ের হয় না। এ সব কথা শুনলে আমার দুঃখ হয়।”
মন্ত্রীর এমন মন্তব্যে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন রাজ্য পুলিশের পদস্থ কর্তারা। পরে রাজ্য পুলিশের ডিজি নীলমণি মন্ত্রীকে জানান, ২০১০ সাল থেকেই পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন রাজ্য জুড়ে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই তফসিলি জাতি-উপজাতি আইনে আসা অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে চার্জশিটও দাখিল করা হয়েছে। ডিজি আরও বলেন, “তফসিলি জাতি-উপজাতি আইনে প্রায় ৫ হাজার মামলা পড়ে ছিল। কিন্তু গত এক বছরে এর মধ্যে প্রায় ২৫০০ মামলার নিস্পত্তি হয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে পরিস্থিতি উন্নতির পুরোদস্তুর চেষ্টা চালাচ্ছি।”
তবে খোদ রাজ্য পুলিশের ডিজি সাফাই দিলেও বিহারে এখনও পর্যন্ত তফসিলি জাতি-উপজাতি আইনে অভিযোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে এবং মামলার দ্রুত নিস্পত্তির ক্ষেত্রে যে যথেষ্ট গাফিলতি রয়েছে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মন্ত্রী জিতেন রাম মাঝি। তিনি বলেন, “১৯৯৫ সাল পর্যন্ত জেলা পুলিশ দফতরে এ ধরনের মামলা গ্রহণের জন্য এক জন বিশেষ পুলিশ অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া থাকত। এখন দেখছি, সেই নিয়ম ফের চালু করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।” একই সঙ্গে মন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যেই রাজ্যে ১০টি তফসিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য বিশেষ থানা রয়েছে। খুব শীঘ্রই এ ধরনের থানার সংখ্যা বাড়িয়ে ৩৯টি করা হবে। |
|
|
|
|
|