|
|
|
|
গডকড়ীকে চিঠি লিখে বিতর্কে জেডিইউ সাংসদ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
ফের আর এক সাংসদকে নিয়ে ডামাডোল সৃষ্টি হল জেডিইউয়ে। এ বার মুজফ্ফরপুরের জেডিইউ সাংসদ, ক্যাপ্টেন জয়নারায়ণ নিষাদ বিহার সরকারের সমবায় এবং মৎস্য উন্নয়ন বিভাগের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানালেন। কিন্তু তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের নেতা নীতীশ কুমার কিংবা দলের সর্বভারতীয় সভাপতি শরদ যাদবকে জানাননি এই অনুরোধ জানাননি। তিনি চিঠি লিখেছেন সরাসরি বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ীকে। তবে নিতিন গডকড়ীকে লেখা ওই চিঠির একটি করে প্রতিলিপি তিনি পাঠিয়েছেন নীতীশ কুমার, শরদ যাদব এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী, প্রাণিসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহকে।
আর এতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। তিনি যে ভাবে নিতিন গডকড়ীকে লেখা ওই চিঠিতে দুর্নীতি প্রতিরোধে বিজেপির উপরে আস্থা রেখেছেন, তাতেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে জেডিইইয়ের অন্দরে। দলের একাংশ অবিলম্বে প্রবীণ ওই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। সাংসদ অবশ্য নিজের কাজের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। নিষাদের কথায়, “যে হেতু সংশ্লিষ্ট বিভাগ দু’টিতে বিজেপি মন্ত্রীদের হাতে, সেই কারণেই আমি বিজেপি সভাপতিকে চিঠি লিখেছি।”
বিজেপি যে ভাবে দেশ জুড়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের কথা ঘোষণা করেছেন, নিষাদ চিঠিতে তার প্রশংসা করে গডকড়ীকে বলেছেন, “সমবায় দফতরের দায়িত্বে থাকা উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী এবং প্রাণিসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহকে বোকা বানিয়ে ওই দফতরের কর্তারা দেদার দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। আপনি আরএসএসের সংগঠনকে কাজে লাগিয়ে অবিলম্বে এই সব দুর্নীতি বন্ধে ব্যবস্থা নিন।”
সাংসদের এই চিঠির কথা প্রকাশ্যে আসতেই অপ্রস্তুত জেডিইউ নেতারা। একই সঙ্গে জেডিইউয়ের ওই সাংসদের বিরুদ্ধে মুখও খুলেছেন দলের একাংশ। দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি শিবানন্দ তিওয়ারির কথায়, “আমাদেরই দলের নেতা মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে না বলে উনি কেন এ ভাবে বিজেপি সভাপতিকে এই চিঠি লিখলেন, সেটাই তো আমি বুঝতে পারছি না। এটা একেবারেই ভাল দেখায় না।” আরও একধাপ এগিয়ে জেডিইউয়ের রাজ্য সভাপতি বশিষ্ঠ নারায়ণ সিংহ বলেন, “এটা উনি ঠিক কাজ করেননি। কেন করেছেন, তা আমরা ওঁর কাছে জানতে চাইব। প্রয়োজনে আমাদের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি ওঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে পারে।”
কিন্তু ব্যবস্থা নেব বললেই যে নেওয়া যায় না, তা মানছেন জেডিইউ নেতারাই। গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়েই দলের ১১ সাংসদ নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রচার করেছেন। অনেকেই নীতীশের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে আত্মীয়দের আরজেডির টিকিটও পাইয়ে দিয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১১ সাংসদের বদলে মাত্র চার জন সাংসদের বিরুদ্ধেই জেডিইউ ব্যবস্থা নিতে পেরেছিল। মাস দুয়েক আগে ললন সিংহ, উপেন্দ্র কুশাহা, মঙ্গনিলাল মণ্ডল এবং সুশীল কুমার সিংহ---এই চার জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি শরদ যাদব। তাই শেষ পর্যন্ত জয়নারায়ণ নিষাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা দল নেবে কিনা বা নিতে পারবে কিনা তা নিয়ে নিশ্চিত নন শিবানন্দরাই। |
|
|
|
|
|