হাইকোর্ট হঠাৎ অন্ধকার, হেঁটেই চারতলায় মুখ্যমন্ত্রী
লকাতা হাইকোর্টে অনুষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি এবং অন্যান্য বিশিষ্ট জন হাজির। হঠাৎ বিদ্যুৎ-বিভ্রাট। মুখ্যমন্ত্রীকে হেঁটেই চারতলায় উঠতে হল। কেন এমন হল, খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গড়েছে রাজ্য সরকার।
দেশের বিভিন্ন আদালতে জমে থাকা মামলার সংখ্যা হ্রাসের কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষে শুক্রবার দুপুরে হাইকোর্ট ভবনে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান শুরুর মুখে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ঠিক পরেই আসেন মুখ্যমন্ত্রী। বিদ্যুতের অভাবে লিফ্ট অচল থাকায় হেঁটে সিঁড়ি ভাঙতে শুরু করেন তিনি। চারতলায় উঠে বসে পড়েন একটি চেয়ারে। কোনও ক্রমে জেনারেটর দিয়ে একটি লিফ্ট চালানো হয়। সেটিতে মুখ্যমন্ত্রীকে ১০তলার সভাকক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের ফলে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি-সহ অতিথিদের অনেকেই সভাস্থলে যেতে সমস্যায় পড়েন। বিদ্যুৎ ফিরে আসতে আধ ঘণ্টা লেগে যায়। কেন এই বিভ্রাট, সন্ধ্যা পর্যন্ত তা নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে দফায় দফায় বৈঠক ও অনুসন্ধান চলে।
বিদ্যুৎ আছে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। অনুষ্ঠানের পরে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সভার মধ্যে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট কেন? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শুনেছি, সিইএসসি-র লাইনে কিছু একটা গণ্ডগোল হয়েছিল।” ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের পূর্তসচিব অজিতরঞ্জন বর্ধন হাইকোর্ট ভবনে যান। সরকারি সূত্রের খবর, এই বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের তদন্তে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি লিমিটেড বা এসিইডিসিএলের চিফ ইঞ্জিনিয়ার সমীর চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে এক সদস্যের কমিটি গড়া হয়েছে। সন্ধ্যায় সিইএসসি-র ভাইস প্রেসিডেন্ট অনিরুদ্ধ বসু বলেন, “লোডশেডিং বা সিইএসসি-র ভুলের জন্য এটা হয়নি। আমরা তদন্তকারীকে তার প্রমাণ দিয়েছি।” সমীরবাবু বলেন, “ঘটনাস্থলে গিয়ে সব স্তরে খোঁজ নিয়েছি। সিইএসসি-র কাছ থেকে কিছু তথ্য চেয়েছি। সেটা পেলে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হব। তবে ‘নর্মাল ভোল্টেজ’ ছিল। প্রাথমিক ভাবে সিইএসসি-র বক্তব্য ঠিক বলেই মনে হচ্ছে।”
ওই ভবনে মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য বিশিষ্ট জনের উপস্থিতিতে এই ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে পূর্ত দফতর। ওই দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বিবেক রাহা বলেন, “আমাদের ইলেকট্রিক্যাল শাখা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।” তাঁদের ইলেকট্রিক্যাল শাখার অতিরিক্ত চিফ ইঞ্জিনিয়ার অরুণ ভদ্র বলেন, “একটা গিয়ার ট্রিপ করে গিয়েছিল। কেন এমনটা হল, তার নিশ্চিত কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ব্যাক-আপ জেনারেটর দিয়ে কাজের সামাল দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের বিভ্রাট যাতে আর না-হয়, তা নিশ্চিত করতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
Previous Story Calcutta Next Story


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.