|
|
|
|
বেতন বৃদ্ধির দাবি, স্মারকলিপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
বেতন বৃদ্ধি-সহ একগুচ্ছ দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিলেন ভারতীয় জনসংখ্যা প্রকল্প বা আইপিপি-৮-এর স্বাস্থ্যকর্মীরা। শুক্রবার ওই প্রকল্পের প্রায় একশো মহিলা অতিরিক্ত জেলাশাসক পূর্ণচন্দ্র শীটের কাছে দাবি জানিয়েছেন, অবিলম্বে এই কর্মীদের সম্পর্কে জারি করা গত ২৩ এপ্রিল রাজ্যপালের আদেশ কার্যকর করা হোক। ওই আদেশে বলা হয়েছিল, ওই প্রকল্পে কর্মীরা ৬০ বছর পর্যন্ত নিযুক্ত থাকবেন। বাড়তি কোনও ভাতা না মিললেও প্রতি তিন বছর অন্তর শতকরা ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি ঘটবে, প্রকল্পের কর্মীরা অবসরের আগে এককালীন ১ লক্ষ টাকা হাতে পাবেন এবং এই বর্ধিত বেতন ২০১০ সাল থেকেই দেওয়া হবে। কিন্তু এই আদেশের পরে প্রায় ১৪ মাস কেটে গেলেও বর্ধিত বেতন হাতে পাচ্ছেন না বর্ধমান শহরের ২২৯ জন আইপিপি-৮ প্রকল্পের কর্মী। স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রীর কাছেও। প্রশাসনের তরফে এই দাবি বিবেচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
আইপিপি-৮ প্রকল্পের কর্মী সুস্মিতা ভৌমিক বলেন, “পুরসভার হয়ে বর্ধমান শহরের ৩৫টি ওয়ার্ডের জনস্বাস্থ্য দেখভালের কাজ করি আমরা। ভোটের আগে আলমগঞ্জে প্রকল্পের মুখ্য পৌর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বৈঠক করে পুরসভার সিপিএমের চেয়ারম্যান আইনুল হক জানিয়েছিলেন, ভোটের পরে বেতন বৃদ্ধি ঘটবে। কিন্তু ভোটের পরে তাঁর সঙ্গে দেখা করলে সাফ বলে দেন, ‘আমরা এখন আর সরকারে নেই। আপনারা বরং কলকাতার তৃণমূল ভবনে চলে গিয়ে নিজেদের দাবি জানান।” অভিযোগ প্রসঙ্গে আইনুল বলেন, “আমি কাউকে তৃণমূল ভবনে যেতে বলিনি। কেউ হয় তো মিথ্যা কথা রটাচ্ছেন। এই আইপিপি-৮ প্রকল্পের কর্মীদের কাজ করার কথা ছিল মাত্র তিন বছর। সপ্তম বামফ্রন্ট সরকারই ওই কর্মীদের কাজের মেয়াদ বাড়ায়। ওঁদের বেতন বৃদ্ধি বা এককালীন টাকা দেবার কথা ওই সরকারেরই ঘোষিত নীতি। নতুন সরকার সেটা বহাল রাখবে কিনা সেটা তাদের ব্যাপার। সরকারি নির্দেশ পেলেই আমি ওঁদের বেতন বৃদ্ধি ঘটিয়ে দেব।” |
|
|
|
|
|