|
|
|
|
পুলকার ধরতে ফের অভিযান দুর্গাপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
বেহাল পুলকার ধরতে শুক্রবার অভিযান চালাল দুর্গাপুর আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর ও প্রশাসন। তিনটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সামনে অভিযান চালানো হয়। আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক অনিমেষ সিংহরায় জানান,প্রায় ২৩টি গাড়ির কাগজপত্র ও অবস্থা খতিয়ে দেখা হয়। তবে সেগুলির অবস্থা খারাপ নয়। প্রত্যেককেই সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে সমস্ত নথিপত্র, লাইসেন্স ইত্যাদি ঠিক করে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী করুণা সিংহের স্কুলবাস থেকে পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যুতে পুলকারগুলির অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শহর জুড়ে বেআইনি পুলকার বিরুদ্ধে অভিযানে নামে মহকুমা প্রশাসন। বুধবার দুর্গাপুর ও আসানসোলের কয়েকটি স্কুলের সামনে অভিযান চালিয়ে বৈধ কাগজপত্র ও গাড়ির অবস্থা ঠিক না থাকার অভিযোগে কয়েকটি গাড়িকে আটক করে আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর। দুর্গাপুরের তিনটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সামনে থেকে আটক করা হয় পাঁচটি পুলকার। পুলকার মালিকদের শীঘ্রই সমস্ত নথিপত্র ঠিক করে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার আসানসোলে অভিযান জারি থাকলেও দুর্গাপুরে তা হয়নি। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক মৌমিতা বসু জানান, গাড়ির ‘ফিটনেসের’ উপরেই বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। আসানসোলের মহকুমা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, পড়ুয়াদের নিয়ে যাতায়াত করা গাড়িগুলিকে কাগজপত্র ও পরিকাঠামো ঠিক করার জন্য সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে। তার পরে ফের লাগাতার অভিযান চলবে।
শুক্রবার দুর্গাপুরে ফের অভিযান চলে। ২৩টি গাড়ির নথিপত্র পরীক্ষা করা হয়। নথিপত্র, লাইসেন্স ও পারমিট ঠিক করে নেওয়ার জন্য সাত দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলে জানান আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক অনিমেষবাবু। পুলকারগুলির তরফে এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। অনিমেষবাবু বলেন, “অভিযান চলবে। ফিটনেসের ব্যপারে কোনও গলদ থাকলে বাজেয়াপ্ত করা হবে।” |
|
|
|
|
|