|
|
|
|
শত বর্ষের রথযাত্রাই মিলনমেলা মানকরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
একশো বছর পূরণ করতে চলেছে মানকরের দক্ষিণ রাইপুরের গোস্বামীপাড়ার রথ উৎসব। সে উপলক্ষে এ বার চলছে বিশেষ প্রস্তুতি। সাজানো হচ্ছে এই উৎসবের মূল আকর্ষণ পিতলের রথ।
রথযাত্রা ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনার শেষ নেই গোস্বামীপাড়ায়। প্রতি বছরেই এই উৎসবে মেতে ওঠেন এলাকার মানুষ। বসে মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর। এ বার অবশ্য জাঁকজমক অনের বেশি। কর্মসূত্রে যারা বাইরে থাকেন তাঁরা ইতিমধ্যেই গ্রামে ফিরছেন। |
|
ছবি: বিশ্বনাথ মশান। |
গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দারা জানান, দেড়শো বছর আগে মানকরের লক্ষ্মী-জনার্দন মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন গন্ধর্ব কর। একশো বছর আগে এই রথযাত্রার পত্তন করেন মাধবচন্দ্র কর। ১৩১৮ বঙ্গাব্দে পিতলের প্রায় সাড়ে ৯ ফুট উচ্চতার একটি রথ নির্মাণ করেন স্থানীয় শিল্পী কেদারনাথ দে। তাতেই গৃহদেবতা লক্ষ্মী-জনার্দনকে এলাকা পরিক্রমা করানো হত। রাতে মন্দিরেই ফিরে আসত রথ। সেই পরম্পরা আজও চলছে। তবে এই উৎসব এখন শুধু কর পরিবারেই সীমাবদ্ধ নয়। তা হয়ে গিয়েছে সার্বজনীন। স্বতস্ফূর্ত ভাবেই গ্রামের বাসিন্দারা এই উৎসবে যোগ দেন। স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা ভিড় সামলান। আউশগ্রাম ও গলসি থেকেও বহু মানুষ আসেন এই উৎসবে।
এই উৎসব এ বার পা দিল ১০১ বছরে। তাই এ বছর বিশেষ আয়োজনও করছেন উদ্যোক্তারা। ঠিক হয়েছে, এ বার রথের সামনে হাঁটবে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রারূপী তিন বালিকা। তা ছাড়া, যাত্রাপথের দু’দিকে মহিলারা শঙ্খধ্বনি করবেন। মন্দিরের প্রধান সেবাইত কপিলমুনি কর জানান, রথের দিন বিকেল ৩টা নাগাদ শুরু হবে শোভাযাত্রা। বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে রথ মন্দিরে ফিরবে রাত ১০টা নাগাদ। উল্টো রথের দিনেও একই ভাবে শোভাযাত্রা বের হয় বলে জানান তিনি।
মন্দির প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, পিতলের রথটি বের করে সাজানোর কাজ চলছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে তোরণ গড়া হচ্ছে। চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও। স্থানীয় গৃহবধূ তপতী গোস্বামী বলেন, “প্রতি বছর এই দিনটির জন্য আমরা অপেক্ষা করে থাকি। যাঁরা বাইরে থাকেন, তাঁরাও গ্রামে ফেরেন এই সময়।” |
|
|
|
|
|