রাতে হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে আছেন রোগিণী। আচমকা পায়ের আঙুলের যন্ত্রণায় ককিয়ে উঠলেন। চিৎকার-চেঁচামেচিতে সকলে ছুটে গিয়ে দেখলেন, রোগিণীর আঙুল কামড়ে রক্ত বার করে পালাচ্ছে ধেড়ে ইঁদুর।
গ্রামগঞ্জের স্বাস্থ্যকেন্দ্র নয়, এই ঘটনা খাস কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের। এই নিয়ে হইচই বেধে গিয়েছে। মেডিক্যালের গ্রিন বিল্ডিংয়ে অর্থোপেডিক বিভাগে ভর্তি ছিলেন শেফালি সাহা নামে ওই মহিলা। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত শেফালিদেবী বুধবার রাতে শয্যায় শুয়ে থাকার সময় তাঁর বাঁ পায়ের দু’টি আঙুলে ইঁদুর কামড়ে দেয় বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান রোগীরা। মেডিক্যাল-কর্তৃপক্ষ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, অনেক ওষুধ দেওয়া সত্ত্বেও ইঁদুর নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। আজ, শুক্রবার আবার ওষুধ দেওয়া হবে। পাঁচটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হবে শেফালিদেবীকে।
স্বাস্থ্য দফতর এখন খোদ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। কিন্তু বিভিন্ন হাসপাতালে কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর, পিঁপড়ে ও মশার উপদ্রব সামলানোর যথেষ্ট ব্যবস্থা এখনও নেই। কখনও পিঁপড়ে খুবলে নিচ্ছে রোগীর প্রত্যঙ্গ, কখনও বা স্যালাইনের সিরিঞ্জ বেঁধানো হাতে চলেছে মশার রক্তভোজ। এ বার তার সঙ্গে যুক্ত হল খাস মেডিক্যালে ইঁদুরের উৎপাত।
|
সদ্যোজাত শিশুদের জন্য নতুন বিভাগ তৈরি কারা হচ্ছে। এর জন্য তিন মাস আগে রামপুরহাট হাসপাতালের পুরনো ভবনের ছাদ নতুন করে তৈরি করা হচ্ছিল। বর্ষার আগে সেই কাজ শুরু হলেও এখনও তা সম্পূর্ণ হয়নি। এর ফলে পুরনো ভবনের নীচের ওয়ার্ডে জল জমছে। দোতলায় বহির্বিভাগে যেতে হলে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের ওই জল ডিঙিয়ে যেতে হচ্ছে। এই অবস্থার জন্য কাজের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা পূর্ত বিভাগের উদাসীনতাকে দায়ী করেছে যুব কংগ্রেস। দলের নেতা সেলিম শেখ, অভিজিৎ মাঝিরা বলেন, “ছাদ সংস্কারের অভাবে চুঁয়ে চুঁয়ে জল পড়ছে। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হাসপাতাল সুপারকে হয়েছে।” এ ছাড়া, হাসপাতালে কোথাও জলের পাইপ ফাটা, জলের ট্যাঙ্ক খোলা রয়েছে বলেও তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রী হালদার বলেন, “সমস্যার কথা পূর্ত বিভাগ ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে জানানো হয়েছে।”
|
গ্রামের নলকূপের জল খেয়ে পেটের অসুখে আক্রান্ত হয়েছেন রায়না-১ ব্লকের বোড়োগ্রামের অন্তত ১০ জন। তাঁদের সাত জনকে বৃহস্পতিবার দুপুরে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তন্ময় মুখোপাধ্যায় বলেন, “গ্রামের নলকূপের জলে নিকাশির জল মিশে এই বিপত্তি। জলের নমুনা সংগ্রহ করে দরকার হলে নলকূপ সিল করে দেওয়া হবে।”
|
অপারেশন থিয়েটারের জানলা ভেঙে পড়ায় চাঞ্চল্য দেখা দিল দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে তিনতলায় থাকা অপারেশন থিয়েটারের জানলা ভেঙে নীচতলায় এসে পড়ে। সেই সময় সেখানে কেউ না থাকায় দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে হাপাতালের নির্মাণ কাজের হাল নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বাসিন্দারা। হাসপাতাল সুপার নিখিল দাস বলেন, “উদ্বেগজনক ঘটনা। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
|
পুরসভা ও কলকাতা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে ‘ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্স’ পরিষেবা চালু হচ্ছে। আজ, শুক্রবার রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে ওই পরিষেবার সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়র পারিষদ (তথ্য ও সংস্কৃতি) সামসুজ্জামান আনসারি জানান, এই পরিষেবায় পুরসভার তরফে মোট ১২টি অ্যাম্বুল্যান্স কলকাতা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এ ছাড়াও শহরের ১৫টি বরোতে বিনামূল্যে জলাতঙ্কের ইঞ্জেকশন প্রদান কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক সূচনা করছে পুর-স্বাস্থ্য দফতর। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ জানান, এখন থেকে শহরের ১৫টি বরোতেই বিনামূল্যে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক দেওয়া হবে।
|
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া থেকে শুরু করে পেসমেকার বসিয়ে বাড়ি ফিরতে ৫০,০০০ টাকাও লাগবে না। এমনই দাবি বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষের। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে ৪৯ হাজার টাকায় পেসমেকারের ‘প্যাকেজ’ ঘোষণা করে ডিসান-এর চেয়ারম্যান সজল দত্ত বলেন, “মানের সঙ্গে আপস না করে খরচ কমানোই লক্ষ্য ছিল। তা-ই করতে চলেছি।” জয়েন্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর তাপস মুখোপাধ্যায় জানান, শহরে এটি তৃতীয় হাসপাতাল, যারা ‘ন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড ফর হসপিটালস্ অ্যান্ড হেল্থকেয়ার প্রোভাইডার্স’-এর স্বীকৃতি পেয়েছে। |