স্কুল শিক্ষকদের টিউশন বন্ধের আইন বাতিলের দাবিতে জেলা স্কুল পরিদর্শককে স্মারকলিপি দিল অভিভাবক মঞ্চ। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অসিত চক্রবর্তীর কাছে গিয়ে স্মারকলিপি দেন তাঁরা। অভিভাবকদের বক্তব্য, স্কুল শিক্ষকদের কাছে অনেক ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। চার মাস পরে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির টেস্ট পরীক্ষা। এই অবস্থায়, শিক্ষকরা টিউশন বন্ধ করে দেওয়ায় ছাত্রছাত্রীরা সমস্যায় পড়েছে বলে অভিযোগ অভিভাবকদের পক্ষে রিমঝিম সরকার বলেন, “স্কুল শিক্ষক হোন আর শুধু যারা টিউশনের সঙ্গে যুক্ত সে রকম শিক্ষক হোন সকলের কাছে ছাত্রছাত্রীদের পড়ার অধিকার থাকতে হবে।” |
বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন স্কুল পরিদর্শক। ২০১১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ সরকার টিউশন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে স্পষ্ট ভাবে বলে দেওয়া হয়েছে, স্কুলে শিক্ষকতার সঙ্গে যারা জড়িত আছেন, তাঁরা টিউশন করতে পারবেন না। বিধানসভা নির্বাচনের সময় ওই বিজ্ঞপ্তি স্কুলে স্কুলে পাঠাতে পারেনি শিলিগুড়ি জেলা শিক্ষা দফতর। মে মাসে ওই বিজ্ঞপ্তি প্রতিটি স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর পরই টিউশন বন্ধ করতে বাধ্য হন শিক্ষকরা। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই এ দিন আন্দোলন করা হয়। অভিভাবক মঞ্চ আইন বাতিলের দাবি তোলায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বেঙ্গল প্রাইভেট টিউটরস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সম্পাদক অমিত দাস বলেন, “মুষ্টিমেয় কিছু অভিভাবক নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে ওই দাবি তুলেছেন। এ ভাবে তাঁরা রাজ্যের আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখাতে পারেন না। ২০০৯ সালে আইন যখন সংশোধিত হয় সে সময় কেন তাঁরা ওই দাবি তুলে মহাকরণে যাননি। আমরা বহু ছাত্রছাত্রীকে পড়াই। তাঁদের অভিভাবকরা ওই আন্দোলনে নেই। যে সব শিক্ষকরা টিউশন করছেন, তাঁদের একটি তালিকা জেলা স্কুল পরিদর্শককে দিয়েছি। ৪৮ ঘণ্টায় ব্যবস্থা নেওয়া না হলে শিক্ষকদের নামের তালিকা করে শহরে পোস্টার লাগাব।” |