|
|
|
|
পালিত হুল উৎসব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সাঁওতাল বিদ্রোহ ও সিদো-কানহোর স্মৃতিতে বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়েই পালিত হল হুল উৎসব। ঝাড়গ্রাম, গোপীবল্লভপুর, নয়াগ্রাম থেকে মেদিনীপুর, গোয়ালতোড় সর্বত্রই ছিল নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হুল উৎসবের প্রধান আয়োজনটি ছিল গোপীবল্লভপুরে। জেলা পরিষদ চত্বরেও অনুষ্ঠান হয়। সিদো-কানহোর মূর্তিতে মালা দেন সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য-সহ কর্মাধ্যক্ষরা। ঝাড়গ্রামের সুভাষপল্লিতে বিরসা টোলা খেরওয়াল গাঁওতা ক্লাবের উদ্যোগে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। ক্লাব সভাপতি দশরথ হেমব্রম বলেন, “মুমুর্ষু রোগীদের পাশে দাঁড়াতেই আমাদের এই উদ্যোগ।” |
|
শহিদ স্মরণ। সদর বিডিও অফিসে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
ঝাড়গ্রামেরই একলব্য আদর্শ আবাসিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে সকালে বেরোয় পদযাত্রা। পরে অনুষ্ঠানে আসেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় চেয়ারম্যান স্বপন মুর্মু। চন্দ্রকোনা রোডের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা-সহ বিশিষ্টজনেরা। দিনটি পালিত হয়েছে গোয়ালতোড়েও। মেদিনীপুর সদর পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতী তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর (সদর)-এর মহকুমাশাসক সুরজিৎ রায়। রক্তদান শিবিরেরও আয়োজন ছিল। ব্লক অফিসের কর্মীরা রক্ত দেন। বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন কয়েকটি আদিবাসী সাংস্কৃতিক সংস্থা। সদর ব্লকের বিডিও অয়ন নাথ বলেন, “কৃতী ছাত্রছাত্রীদের আরও উৎসাহ দিতেই সংবর্ধনা। আমরা ওদের পাশেই রয়েছি।” এ দিন হুল উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল দাঁতন-১ ব্লকের তররুই হাইস্কুল মাঠেও। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত আয়োজিত উৎসবে উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি, যুগ্ম বিডিও তপনজ্যোতি বিশ্বাস, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রভাতী সিংহ, আদিবাসী দরদি সমাজকর্মী ঠাকুরদাস মুর্মু প্রমুখ। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত আদিবাসী শহিদদের স্মৃতিচারণ, দিনটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। |
|
|
|
|
|