|
|
|
|
নতুন ‘ডিআরএস’-কে স্বাগত সৌরভের |
সংবাদসংস্থা • হংকং |
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আইসিসি-র আরও উন্নত মানের প্রযুক্তি প্রয়োগ বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগকে স্বাগত জানালেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, এটা চালু হলে ক্রিকেটের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁদের প্রত্যেকেই নিজেদের আরও উন্নত করতে পারবেন। এই মুহূর্তে যে ডিআরএস পদ্ধতি চালু আছে তা নিয়ে হালফিলে ভারতীয় ক্রিকেটারদের অনীহাকে তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন। কারণ ক্রিকেট জীবনে তাঁর নিজেরও ব্যাপারটা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা ছিল।
প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক এই মুহূর্তে এখানে এসেছেন আইসিসি-র আমন্ত্রণে। এর মধ্যেই তিনি ডিআরএস নিয়ে স্পষ্ট ভাষায় নিজের মতামত ব্যাখ্যা করেছেন। ’২০০৮-এ যখন প্রথম ক্রিকেটে এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হল তখন সৌরভ শ্রীলঙ্কা সফরকারী ভারতীয় দলের সদস্য। এটা নিয়ে সেই দলের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়াটা কিন্তু সংশয়হীন ছিল না। “সে সময় ক্যামেরা যে অ্যাঙ্গেলে রাখা হচ্ছিল তা কিন্তু আমাদের পুরোপুরি সন্তুষ্ট করতে পারেনি,” বলেছেন সৌরভ। সঙ্গে যোগ করেছেন, “ব্যাপারটার মধ্যে এমন কিছু নেতিবাচক দিক আমাদের চোখে পড়েছিল যার কোনও কার্যকরিতা নেই। তবে এখন আশা করি পরিস্থিতিটা অতটা খারাপ নয়।”
শ্রীলঙ্কায় সে বার সৌরভ একদিনের সিরিজ খেলেননি। টেস্ট সিরিজের পরেই তাঁকে দেশে ফিরে আসতে হয়। তাই তিনি জানেন না সিরিজে ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে ডিআরএস নিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা ম্যাচ রেফারি বা টিভি সম্প্রচারকদের কখনও জানানো হয়েছিল কি না। টিভিতে বিশেষজ্ঞের কাজ করার সৌজন্যে ২০০৮ সালের ওই সিরিজের পর থেকে এখন পর্যন্ত সৌরভের ডিআরএস-কে খুব কাছ থেকে দেখা বা বোঝার সুযোগ হয়েছে। তাতে তার বক্তব্য, “এখন তো এমনিতেই ব্যাপারটার বিশাল উন্নতি হয়েছে। এখন যে প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে তা আগেকার থেকে অনেক বেশি উন্নত মানের।” হক-আই ট্র্যাকিং সিস্টেমের বদলে নতুন ডিআরএস-এর ব্যবহার টেস্ট ও একদিনের ম্যাচে বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি সৌরভ বলেছেন, “আমি কি ডিআরএস-র সামনে খেলতে পছন্দ করতাম? এখন এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া খুব কঠিন। কিন্তু প্রযুক্তিকে আপনি গ্রহণ করলে দেখবেন তাতে ক্রমশ অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন।” সৌরভ মনে করছেন আরও উন্নতমানের ডিআরএস-র জমানায় ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রেও সেটাই হতে যাচ্ছে। একই সঙ্গে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের মতে, নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগের পরিপ্রেক্ষিতে ক্রিকেটারদের মনোভাব জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু তারাই ব্যাপারটার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকবেন। এবং প্রযুক্তিতে কোনও পরিবর্তন আনা হলে বা তাকে আরও উন্নত করা হলেও সেটা যেন ক্রিকেটারদের জানিয়ে, বুঝিয়ে করা হয়।
|
|
|
|
|
|