বিহার বদলাল কী ভাবে, রাজ্যকে শুনিয়ে গেলেন সুশীল মোদী
ত দিন বিহার শুনত পশ্চিমবঙ্গের কথা। এ বার পশ্চিমবঙ্গের পালা বিহারের অভিজ্ঞতা থেকে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা তৈরি করার।
বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের ৮৩তম বার্ষিক সভায় বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী ব্যাখ্যা করলেন বিহারের পরিবর্তনের ‘কী’ এবং ‘কেন’। শুনলেন পশ্চিমবঙ্গের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ রাজ্যের শিল্প-কর্তারা। তবে ‘পরিবর্তন’-এর পশ্চিমবঙ্গ এগিয়ে যাওয়ার দৌড় থেকে যে ছিটকে যায়নি তাও ফিরতিতে বোঝান পার্থবাবু।
আলোচনার ধরতাই দিয়েছিলেন এশিয়ান ডেভেলপ- মেন্ট ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জেনারেল বঙ্গসন্তান রজত নাগ। তাঁর মতে, লগ্নির প্রতিবন্ধকতাগুলি নতুন নয়। কিন্তু সে সব দূর করা কাজটাই এগোয়নি। তিনি বলেন, দক্ষ ও স্বচ্ছ প্রশাসন লগ্নির জন্য একান্ত জরুরি। ইন্ডিয়ান চেম্বারের প্রেসিডেন্ট জয়ন্ত রায়ের বক্তব্য, সকলের জন্য উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণে রাজনীতি ও শিল্পের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গীর বিষয়টিও ভাবতে হবে।
সুশীল মোদীর অবশ্য দাবি, গত পাঁচ বছরে বদলেছে বিহার। তাঁরই কথায়, “যেখানে এক পয়সা লগ্নি হত না, সেখানে ২,০০০ কোটি টাকারও বেশি লগ্নি এসেছে রাজ্যে।”
রজত নাগ, সুশীল মোদী, জয়ন্ত রায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায় (বাঁ দিক থেকে)।
কী করে হল এই পরিবর্তন? মোদীর দাবি, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ছবিটার মতোই বদলে গিয়েছে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডও। যেমন, গোটা মন্ত্রিসভা ও প্রায় চার লক্ষ অফিসারের সম্পত্তির হিসেব ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অফিসার-কর্মীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সেই অর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যয় হবে। ঠিক সময়ে কাজ শেষ করতে তৈরি হয়েছে পরিষেবা-অধিকার আইনও। পরিবর্তনের চেহারা সরেজমিনে দেখতে রাজ্যের বণিক মহলকে বিহারে আমন্ত্রণ জানান মোদী। তিনি বলেন, “কথায় বলত পশ্চিমবঙ্গ আজ যা ভাবে, কাল তা ভাবে ভারত। আমরাও অনেক কিছুই করেছি, যা অন্যরা অনুসরণ করছে।” তবে পশ্চিমবঙ্গেও বদল নিয়ে আশাবাদী তিনি। জবাবে পার্থবাবুও জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে এ রাজ্যেও পরিবর্তন আনতে বদ্ধপরিকর তাঁরা।
তবে কৃষির স্বার্থ সুরক্ষিত রেখেই যে শিল্প হবে, তা জানিয়েছেন দু’জনেই। মোদী জানান, তাঁরা এক-ফসলি জমিও শিল্পের জন্য নেবেন না। এ ছাড়া বিহারে বাজার দরের চেয়েও ২৪০% বেশি দাম পাবেন জমিদাতা। শিল্পকে জমি দিতে আগেই গড়া হয়েছে আলাদা ‘জমি ব্যাঙ্ক’ও। মোদীর বক্তব্য, ঘনবসতি ও উর্বর জমির নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার দেশে অগ্রণী। ফলে গুজরাত বা মহারাষ্ট্র যত সহজে শিল্পের জন্য জমি জোগাড় করতে পারে, এই দুই রাজ্যে তা সম্ভব নয় বলে তাঁর দাবি।
First Page Business Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.