|
|
|
|
মজুত অস্ত্র উদ্ধার, অস্বস্তিতে বামেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
দুই সিপিএম সমর্থকের বাড়ি থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধারের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার গভীর রাতে কালিয়াচকের মোজমপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। অপহৃত দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে গিয়ে ওই এলাকায় দুই সিপিএম সমর্থকের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তখনই তাদের বাড়ি থেকে ৮টি পাইপগান, একটি বড় মাসকেট এবং ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। পুলিশ জানায়, দোস্ত মহম্মদ নামে এক সিপিএম সমর্থক পালিয়ে গেলেও এনামূল সেখ নামে অপর এক সিপিএম সমর্থককে বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। দলের দুই সমথর্কের বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার এবং এক সমর্থককে গ্রেফতার করায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছে সিপিএম জেলা নেতৃত্ব।
জেলা পুলিশ সুপার ভূবন মন্ডল বলেন, “দিনমজুর সরবরাহের কাজে যুক্ত অপহৃতকে দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে ডিএসপি (ডিএন্ডটি) সৈকত ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল কালিয়াচকের মোজমপুরে হানা দেয়। তারা সিপিএম আশ্রিত দুই সমাজবিরোধীর বাড়ি থেকে ৮টি পাইপগান, একটি বড় মাসকেট, কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” রবিবার ধৃত এনামূল সেখকে আদালতে তোলা হলে মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট জামিনের আবেদন খারিজ করে তিনদিন পুলিশি হেপাজতে পাঠিয়েছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক জীবন মৈত্র জানান, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছেন। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য তথা প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ ঘোষ বলেন, “শাসক দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে পুলিশ এই অস্ত্র উদ্ধারের গল্প ফাঁদছে। আমরা চাই এলাকায় শান্তি ফিরুক। পুলিশ জানে ওই এলাকায় কোথায় অস্ত্র আছে। সব জেনেও তারা সে সব অস্ত্র উদ্ধার করছে না কেন?” রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যান মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “৩৪ বছর ধরে সিপিএম বন্দুক দেখিয়ে রাজত্ব করছিল আজকে বিভিন্ন জেলায় অস্ত্র উদ্ধার তার প্রমাণ। নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে আমরা কখনই পুলিশকে দিয়ে একাজ করাইনি। ভাবমূর্তি স্বচ্ছ বলেই ৩৪ বছর পর রাজ্যের মানুষ তৃণমূলকে ক্ষমতায় এনেছে।” জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুর জেলার চাকুলিয়া থানা এলাকা থেকে ৩ দিন আগে দুই দিনমজুর সরবরাহকারীকে অপহরণ করা হয়েছিল। তাঁদের খুঁজতেই পুলিশ কালিয়াচকে যায়। পুলিশি হানার খবর পেয়েই অপহরণকারীরা দিন মজুর সরবরাহকারী দু’ জনকে ছেড়ে দেয়। অপহরণকারী সিপিএম সমর্থক এনামূল সেখের বাড়িতে হানা দিয়ে গুলিভর্তি একটি পাইপগান উদ্ধার করে। এনামূল সেখকে পুলিশ গ্রেফতার করে। দাস্ত মহম্মদের বাড়িতে হানা দিয়ে ৭টি পাইপগান, একটি বড় মাসকেট উদ্ধার করে। দোস্ত মহম্মদ পালিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা, অপহরণ-সহ ২৫ টির বেশি মামলা রয়েছে। ধৃত এনামূল সেখের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা রয়েছে। |
|
|
|
|
|