|
|
|
|
হাসপাতালে বিশৃঙ্খলা না-পসন্দ মুখ্যমন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর |
হাসপাতালে ঢুকে কোনও রকম বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার দুপুরে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে ঢুকে এক দল তৃণমূল নেতারা চরম বিশৃঙ্খলা করেন বলে অভিযোগ। ওই ঘটনা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি সুদীপ্ত রায়। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাকে জানিয়েছেন, হাসপাতালে ঢুকে এ রকম বিশৃঙ্খলা তিনি বরদাস্ত করবেন না।” রবিবার বিধায়কের সঙ্গে দেখা করেন হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত সান্যাল। তৃণমূল সূত্রের খবর, শ্রীরামপুর শহর তৃণমূলের সভাপতি সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দলের নেতা রাজা মুখোপাধ্যায়, ঝুম মুখোপাধ্যায়, হারাধন দাস, রাজীব দত্ত, শ্রীরামপুর পুরসভার দলীয় কাউন্সিলর গৌরমোহন দে, পিন্টু নাগ প্রমুখ শনিবার ওই হাসপাতালে যান। চার তলায় মহিলা ওয়ার্ডে গিয়ে খাবারের মান এবং পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। হইচই শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ, খাবার পরিবেশনকারীদের হুমকি দিয়ে খাবার দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। সুপারকে জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা হয়। অন্য এক চিকিৎসকের সঙ্গেও অভব্য আচরণ করেন তৃণমূল নেতারা। ভাত-তরকারি ফেলে দেওয়া হয়। আন্দোলনের জেরে রোগীদের অনেকেই খেতে পাননি। আন্দোলনকারীরা নেতারা চলে গেলে রান্নাঘরে অবশিষ্ট খাবার তাঁদের দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় বিভিন্ন মহলে প্রতিক্রিয়া হয়। যদিও ওই নেতারা নিজেদের তেমন দোষ দেখতে পাচ্ছেন না। তৃণমূল নেতা হারাধন দাস বলেন, “আমরা রোগীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে বলতে গিয়েছিলাম। তুচ্ছ কারণে চিকিৎসকরা রোগীদের অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। মিড-ডে-মিলের মোটা চালের ভাত রোগীদের দেওয়া হয়। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। হইচই হয়েছে এটা সত্যি। কিন্তু বাকি অভিযোগ ঠিক নয়।” চিকিৎসকেরা অবশ্য জানাচ্ছেন, ওয়ার্ডে ঢুকে চেঁচামেচি করা রোগীদের স্বাস্থের পক্ষেই ক্ষতিকর। |
|
|
|
|
|