আন্দোলনের হুমকি কংগ্রেসের
কশো দিন প্রকল্পে কাজ করেও ছ’মাস ধরে হাজার দেড়েক শ্রমিকরা মজুরি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। রাজগঞ্জের বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে এই ঘটনায় আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে কংগ্রেস। দলের বিন্নাগুড়ি অঞ্চল সভাপতি সমিজুদ্দিন আহমেদ বলেন, “একশো দিন প্রকল্পে কাজ করিয়ে নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত শ্রমিকদের মজুরি দিতে পারছে না। বহু শ্রমিকের মজুরি বকেয়া। মজুরির জন্য পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে দিনের দিনর পর দিন শ্রমিকরা হয়রান হচ্ছেন। দলের তরফে আন্দোলনে নামব।” পঞ্চায়েত প্রধান সিপিএমের ভবানন্দ বর্মন অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, “এই ব্যাপারে আমাদের দোষ নেই। আমরা যথাসময় কাজ বাবদ টাকার আগাম ডিমান্ড দিয়ে থাকি। প্রশাসন থেকে টাকা আসতে দেরি হওয়ায় সময়মতো শ্রমিকদের মজুরি দিতে পারছি না।” বডিও সুতীর্থ দাস বলেন, “এমন তো হওয়ার কথা নয়। টাকা দেওয়া হয়েছে। এ বার জেলা থেকে টাকা আসতে একটু দেরি হয়েছে। ঠিক কী কারণে শ্রমিকরা সময়মতো মজুরি পাচ্ছেন না, তা বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে দেখছি।” কালেশ্বর রায়, সুধীর রায়, সুনীল রায়েরা অভিযোগ করেন, “একশো দিন প্রকল্পে মাটির কাজ করেও ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মজুরি পাচ্ছি না। ‘আজ হবে, কাল হবে’ বলে দিনের পর হয়রান করা হচ্ছে। কাজ করেও মজুরি না পেয়ে অভাব-অনটনে চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে আমাদের।” পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ৫ হাজার জব কার্ড হোল্ডার রয়েছে। কাজ চেয়ে আবেদন জমা পড়ে ৪ হাজার। অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ সবাইকে কাজ দিতে পারেনি। প্রতি বছরে গড়ে কাজ হয়েছে ২৫ দিন। প্রধান বলেন, “২০০৪ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। যাঁরা কাজের আবেদন করেছে সবাইকে কাজ দিয়েছি। কিন্তু সময়মতো টাকা না মেলায় অনেককে মজুরি দিতে পারিনি। এখনও পর্যন্ত ১৫০০ জনের মজুরি বকেয়া আছে। টাকার জন্য বাধ্য হয়ে মার্চ মাস থেকে একশো দিন প্রকল্পে কাজই বন্ধ হয়ে রয়েছে। গত বছরের কাজের টাকাও এখনও মেলেনি। যে সব কাজ চলছে সেটাও বন্ধ হয়ে রয়েছে। প্রশাসনে সব জানানো হয়েছে।” প্রশাসনের দাবি, ওই গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে সময়মতো ইউসি দিতে না পারায় টাকা পেতে সমস্যা হচ্ছে। প্রধান দাবি করেছেন, “আগের কাজের সব টাকা পাওয়া গিয়েছে। শুধু গত বছরের কাজের বাবদ টাকার ডিমান্ড দেওয়া হয়েছিল ৯৭ লক্ষ। তিন দফায় টাকা পাওয়া গিয়েছে ৩১ লক্ষ টাকা। ইউসি জমা দেওয়ার পরেও টাকা পেতে সময় লেগে যায়। তাই শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া যাচ্ছে না।” এ ভাবে কাজ করাও কঠিন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে তিনি এ দিন মন্তব্য করেন।”
Previous Story Uttarbanga Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.