|
|
|
|
বেহাল পথে দুর্ভোগে বেলাকোবা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বেলাকোবা |
রাজগঞ্জ বিধানসভা ক্ষেত্রের জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বেলাকোবা সংলগ্ন বারোপটিয়া পঞ্চায়েতের ফাটাপাড়া বুথ এলাকায় মন্থনি থেকে বানিয়াপাড়া পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলে বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। মন্থনি, বানিয়াপাড়া, পেদিপাড়া, ভান্ডিগুড়ি এমন বেশ কয়েকটি গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা ওই পছেই যাতায়াত করে। রাস্তাটি খানাখন্দে ভর্তি। বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ছোট ছোট কোনও যানবাহনও চলতে পারছে না। জল-কাদায় ভর্তি ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলে প্রচন্ড ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসিন্দারা। অভিযোগ, দু’বছর ধরে রাস্তাটির কোনও সংস্কার হয়নি। তার উপর প্রতিদিন বেশ কয়েকটি বালি-বজরির ট্রাক ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলের ফলে রাস্তার চিহ্ন বলে কিছু নেই। রাস্তাটি দখলে মনে হচ্ছে যেন একটি চষা খেত। কোথাও পুকুরের মতো আকার ধারণ করেছে। পঞ্চায়েত প্রধান কংগ্রেসের মনোহরি রায় রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, “এক শ্রেণির বালি-বজরি ব্যবসায়ী বেআইনিভাবে স্থানীয় করলা নদী থেকে দেদার বালি-বজরি তুলে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছে। এই জন্য রাস্তাটি ভেঙেচুরে গিয়ে বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। পঞ্চায়েত থেকে মাঝেমধ্যে সংস্কার করার পরেও একই অবস্থা হয়। বালি-বজরির গাড়ি চলাচলে বারণ করলেও কেউ কোনও কথাই শুনছে না।” বারোপটিয়া পঞ্চায়েত এলাকাটি রাজগঞ্জ বিধানসভার মধ্যে পড়ে। বাসিন্দের অভিযোগ, রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কথা রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়কে নিয়ে গিয়ে দেখানো হয়। তিনি আশ্বাস দিলেও এখনও কিছুই হয়নি। প্রশাসনের তরফেও কেউ কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না। খগেশ্বরবাবু বলেন, “রাস্তাটির অবস্থা খুব খারাপ। জেলা পরিষদে বলেছি প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা প্রকল্প থেকে যাতে রাস্তাটি করা হয়। সদর ব্লক ভারপ্রাপ্ত বিডিও ভবেন অধিকারী বলেন, “এই ব্যাপারে কেউ আমাকে কিছু জানায়নি। সরজমিনে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। করলা নদী থেকে বালি বজরি তোলার বিষয়টি নিয়ে ভূমি সংস্কার দফতরে কথা বলা হবে।” জেলা পরিষদের সভাধিপতি দীপ্তি দত্ত বলেন, “সম্প্রতি বিধায়ক খগেশ্বরবাবু মন্থনি এলাকায় ৪টি রাস্তা পাকা রাস্তা করার প্রস্তাব দিয়েছেন। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।” এই ঘটনায় আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন কংগ্রেসের সদর ব্লক সভাপতি দুলাল দেবনাথ। তিনি বলেন, “ওই রাস্তা দিয়ে মানুষ চলতে পারছে না। রাস্তার সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামা হবে।” |
|
|
|
|
|