|
|
|
|
বাম-নেতার অপমৃত্যু |
‘সুইসাইড নোট’ সরিয়েছে সিপিএম, বলছে বিরোধীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে সিপিএম নেতা তপন দেবনাথের অপমৃত্যুর মামলা নতুন মোড় নিল।
রবিবার ভক্তিনগর থানার জনতানগরে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ সাংবাদিক বৈঠক করে মৃত সিপিএম নেতার দেহের পাশ থেকে একটি ‘সুইসাইড নোট’ মিলেছিল বলে দাবি করেন। তাঁদের অভিযোগ, “সিপিএম নেতা দিলীপ সিংহ, সুরেশ পাসোয়ান সহ অন্তত ৩০ জনের সামনে নোটটি পড়া হয়। পেসমেকার বসানোয় যন্ত্রণার কারণে তপনবাবু আত্মঘাতী হচ্ছেন বলে নোটে উল্লেখ ছিল। তপনবাবুর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, লেখা ছিল সে কথাও। পরে দিলীপবাবুর নির্দেশে সুইসাইড নোটটি সরিয়ে দেওয়া হয়।”
পাশাপাশি, কংগ্রেসের তরফে এলাকার বাসিন্দাদের সই সংবলিত একটি অভিযোগপত্র পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে ‘সুইসাইড নোট’ সংক্রান্ত ঘটনার তদন্তের দাবি করা হয়। সিপিএমের বিরুদ্ধে বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এলাকায় একটি বিক্ষোভ-মিছিলও করা হয়। তবে তপনবাবুর বড় ছেলে অজয় কিন্তু এ দিনও বলেন, “বাইরের কিছু লোক ‘সুইসাইড নোট’-এর কথা বলছেন। আমরা ঘরেই ছিলাম। আমরা কোনও ‘সুইসাইড নোট’ পাইনি।” |
|
বাসিন্দাদের একাংশের সাংবাদিক বৈঠক। বিশ্বরূপ বসাক |
সিপিএমের ডাবগ্রাম জোনাল কমিটির সম্পাদক দিলীপবাবু তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দেন। তাঁর দাবি, “যাঁরা ওই অভিযোগ তুলেছেন, তাঁরা ভুল বলছেন। তাঁরা কেন এই ধরনের অভিযোগ তুলেছেন তা তাঁরাই বলতে পারবেন।” যদিও ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড কংগ্রেসের সম্পাদক মুন্না মজুমদারের অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে ‘রাজনীতি করার জন্য’ দিলীপবাবু-সহ সিপিএম নেতৃত্ব ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাঁর কথায়, “যখন ‘সুইসাইড নোট’টি পড়া হচ্ছে, আমি উপস্থিত ছিলাম। ভক্তিনগর থানার পুলিশ অফিসারদের সে কথা বলেছি।” মুন্নাবাবুর দাবি, “প্রথম দিকে বুঝতে পারিনি, কী কারণে নোটটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পরে বুঝেছি, সিপিএম রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্যই ‘নোট’ সরিয়ে দিয়েছে। মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এ ভাবে রাজনীতি সমর্থন করি না। তাই পুলিশকে সব জানিয়ে সত্য প্রকাশের দাবি করেছি।”
বুধবার গায়ত্রী সাউ নামে এক মহিলা তপনবাবুর বিরুদ্ধে জোর করে দেড় লক্ষ টাকায় জমি লিখিয়ে তোলার অভিযোগে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের বাড়িতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। মন্ত্রী ভক্তিনগর থানায় গিয়ে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার ভোরে সিপিএমের ডাবগ্রাম লোকাল কমিটির সদস্য তপনবাবুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তার পরেই তপনবাবুর অপমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে আন্দোলনে নামে সিপিএম। সিপিএম নেতৃত্ব অভিযোগ করেন, তপনবাবুকে সাত ঘণ্টা থানায় আটকে রেখে ‘মানসিক অত্যাচার’ করা হয়। আইজি (উত্তরবঙ্গ) রণবীর কুমারের সঙ্গে দেখা করে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করে সিপিএম। সিপিএমের তরফে বিভিন্ন থানায় স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। |
|
|
|
|
|