|
|
|
|
ভাতা নিয়ে ক্ষোভ আশা কর্মীদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাত্রসায়র |
বাড়ি বাড়ি ঘুরে বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার কাজে নিযুক্ত আশা প্রকল্পের কর্মীদের ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে বঞ্চনার অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলাশাসকের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছে আশা কর্মচারী ইউনিয়নের বাঁকুড়া জেলা শাখা। অবিলম্বে ভাতা বাড়ানো এবং নিয়মিত ভাতা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। আগামী ৫ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাঁদের দাবি জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই স্বাস্থ্য কর্মী সংগঠনের জেলা নেতৃত্ব।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯-এ বিশেষ স্বাস্থ্য প্রকল্পে প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় জনসংখ্যা ভিত্তিক আশা প্রকল্পে কর্মী নিয়োগ করা হয়। স্বাস্থ্য দফতর, পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসন সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তাঁদের নিয়োগ করে। জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশনের অধীনস্ত আশা কর্মীরা গ্রামে গ্রামে কাজ করেন। তাঁরা অন্তঃসত্ত্বা রোগীর শারীরিক পরীক্ষা থেকে যক্ষা রোগীকে ওষুধ খাওয়ানো, স্বাস্থ্য সচেতনতার পাশাপাশি জন্ম নিয়ন্ত্রণের প্রচারের কাজও করেন। তাঁরা মাসিক ভাতা পান ৮০০ টাকা। সেটাও অনিয়মিত বলে তাঁদের অভিযোগ।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া জেলায় বর্তমানে প্রায় ২২০০ জন আশা কর্মী বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের অধীনে কাজ করেন। আশা কর্মচারী ইউনিয়নের জেলা নেত্রী মিনতি দত্ত, কুশদ্বীপের লক্ষ্মী বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভা রায়দের ক্ষোভ, “দীর্ঘদিন ধরে মাসিক ৮০০ টাকা ভাতার বিনিময়ে আমারা কাজ করছি। সেটাও সময়মতো মেলে না। এখন স্বাস্থ্য দফতর নতুন নির্দেশিকা দিয়ে আমাদেরকে ৩৬ দফা কাজ করতে বলেছে। অথচ সাম্মানিক ভাতা বাড়ানোর ব্যাপারে কোনও হেলদোল নেই সরকারের। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি।” মিনতিদেবী বলেন, “অস্থায়ী কর্মী হিসেবে ৬,৬০০ টাকা মাসিক বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার দাবিতে আগামী ৫ জুূলাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দ্বারস্থ হচ্ছি।” জেলাশাসক মহম্মদ গুলাম আলি আনসারি বলেন, “কিছু দিন আগে আশা কর্মীরা স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরের। সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে তাঁদের দাবির ব্যাপারটি জানানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে যা সিদ্ধান্তে নেওয়ার স্বাস্থ্য দফতর নেবে।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ দিন্দা অবশ্য দাবি করেন, “আশা কর্মীদের ভাতা বাড়ানোর ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই। বিষয়টি রাজ্য স্তরের।” |
|
|
|
|
|