|
|
|
|
|
|
|
বিষয়: উচ্চাঙ্গ সংগীত |
সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি হল সংগীত, নৃত্য এবং নাট্য বিষয়ে ভারতের জাতীয় অ্যাকাডেমি। বস্তুত, ভারতীয় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পরে শিল্পচর্চার বিভিন্ন বিষয়ে যে জাতীয় অ্যাকাডেমিগুলি তৈরি হয়, এটি তাদের মধ্যে প্রথম। এর প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯৫২ সালের ৩১ মে। সংগীত, নাটক ও নৃত্যকলা সম্পর্কে রাষ্ট্রীয় নীতি কী হবে, সে বিষয়ে এই প্রতিষ্ঠান সরকারকে পরামর্শ দেয়, সেই নীতি রূপায়ণেও সাহায্য করে। তার পাশাপাশি, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে, এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক সংযোগের প্রসার ঘটাতেও এই অ্যাকাডেমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। |
|
|
|
(বাঁ-দিক থেকে) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, অতুলপ্রসাদ সেন। |
|
|
১৯৩৪ সালে চলচ্চিত্রের দুনিয়ার সঙ্গে কাজী নজরুল ইসলামের যোগাযোগ হয়।
প্রথম যে ছবিতে তিনি কাজ
করেন, সেই ‘ভক্ত ধ্রুব’ তৈরি হয়েছিল গিরিশচন্দ্র ঘোষের
লেখা অবলম্বনে। নজরুল সেই ছবি পরিচালনা
করেন, তার আঠারোটি গানের মধ্যে
সতেরোটি লেখেন, সুর করেন এবং নারদ চরিত্রে অভিনয় করেন।
নারদের মুখে
চারটি গানও গেয়েছিলেন তিনি। |
|
|
জানো কি |
• ধ্রুপদ উচ্চাঙ্গ সংগীতের একটি বিশেষ পদ্ধতি। প্রাচীন সামবেদের সামগান থেকে এর উদ্ভব। ধ্রুপদ শব্দটি এসেছে ‘ধ্রুবপদ’ থেকে। ‘ধ্রুব’ মানে শাশ্বত, অপরিবর্তনীয়, আকাশের এক জায়গায় থাকা ধ্রুবতারা যেমন। ‘পদ’ মানে পদ্য বা কবিতা বা পঙ্ক্তি।
• জনশ্রুতি অনুসারে ‘সা’ সুরটি এসেছে ময়ূরের কেকারব থেকে। নিচু এবং উঁচু, দুটি পর্দাতেই এই ডাক শোনা যায়। এই ভাবেই, ‘রে’ নাকি এসেছে ঋষভ অর্থাৎ ষাঁড়ের ডাক থেকে, ‘গা’-এর উৎসে আছে ছাগলের ডাক, আর বসন্তের কোকিলের কুহুতানই হল ‘পা’।
• শিক্ষাদানের ‘গুরুকুল’ ব্যবস্থার উৎস একেবারে বৈদিক যুগে। এই ব্যবস্থায় শিষ্য তার উপনয়ন অর্থাৎ পৈতের পরে বারো বছর গুরুগৃহে থেকে গুরুর কাছে বেদ এবং অন্যান্য বিষয় শিক্ষা করত। ধরে নেওয়া হত, গুরু যা কিছু জানেন, সবটাই শিষ্যকে শেখাবেন। কেবল উচ্চবর্ণের ছাত্রদেরই গুরুকুলে যাওয়ার অধিকার ছিল। গুরুকুলের খরচ দিতেন রাজা, সেটা তাঁর দায়িত্ব বলে গণ্য হত। চারটি ধরনের গুরু ছিলেন: আচার্য, প্রবক্তা, শ্রোত্রীয় এবং অধ্যাপক। সংহিতার যুগ থেকে আমরা বিভিন্ন আচার্যের নাম পাই: অঙ্গিরস, গর্গ, অত্রি, বৃহস্পতি এবং বশিষ্ঠ। শিষ্য ছিল দু’ধরনের: (১) আচার্য-ভাগ, যারা গুরুকে দক্ষিণা দিত এবং (২) ধর্মশিষ্য, যারা গুরুগৃহে নানা কাজ করে দিত।
• রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১২ সালে ইংল্যান্ডে যাওয়ার সময় যে অনূদিত কবিতাগুলি নিয়ে যান, সেগুলিই ইংরেজিতে ‘গীতাঞ্জলি’ নামে সংকলিত হয়। এই গ্রন্থের জন্যই তিনি ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। একটা অদ্ভুত ঘটনা হল, ইংরেজি গীতাঞ্জলির একমাত্র পাণ্ডুলিপিটি লন্ডনের টিউব রেলে খোয়া গিয়েছিল, চেয়ারিং ক্রস এবং রাসেল স্কোয়্যার স্টেশনের মধ্যে। পরে অবশ্য সেটি হারানো-মালপত্র পুনরুদ্ধারের অফিস থেকে ফেরত পাওয়া যায়। ব্রিটিশ কবি ডব্লিউ বি ইয়েটস সেটি পড়েন, তাঁর দারুণ লাগে, তিনি কিছু সংশোধন করেন এবং একটি ভূমিকা লিখে দেন।
• কল্যাণ রাগটি কল্যাণ ঠাটের। এটি সন্ধ্যাবেলার রাগ। এই রাগে সব ক’টি স্বর ব্যবহার করা হয়, পাঁচটি আরোহণে, সাতটি অবরোহণে। এতে তীব্র মধ্যম ব্যবহৃত হয়, বাকি সব ক’টি শুদ্ধস্বর।
• অতুলপ্রসাদ সেন ছিলেন বাংলার এক গীতিকার, সুরস্রষ্টা এবং গায়ক। তাঁর লেখা গানগুলি ‘অতুলপ্রসাদী’ নামে পরিচিত। প্রধানত ভক্তিরসের এবং প্রেমের গান। তিনি বাংলায় ঠুংরি আঙ্গিকের গানের প্রচলন করেন।
• ১৯৭৪ সালের শেষের দিকে ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’ গোষ্ঠীটি তৈরি করেছিলেন কলকাতার কিছু সংগীতস্রষ্টা, তাঁদের নেতা ছিলেন গৌতম চট্টোপাধ্যায়। শুরুতে গ্রুপটির নাম ছিল ‘সপ্তর্ষি’। পরে রঞ্জন ঘোষালের পরামর্শে নামকরণ হল মহীনের ঘোড়াগুলি। জীবনানন্দ দাশের ‘ঘোড়া’ কবিতা থেকে নামটি নেওয়া।
|
|
বলো তো |
১ বলিউডের গায়ক শান্তনু মুখোপাধ্যায় কোন নামে প্রসিদ্ধ?
২ কোন ছবিতে আর ডি বর্মন প্রথম সংগীত পরিচালনা করেছিলেন?
৩ ‘জীবনের জলসাঘরে’ কোন গায়কের আত্মজীবনী?
৪ কোন প্রসিদ্ধ গায়ক ‘কলাবৎ বৈঠকী গানের মজলিস’ নামে একটি সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছিলেন?
৫ ১৯৫২ সালে কলকাতায় কোন প্রসিদ্ধ সংগীত সম্মেলন শুরু হয়েছিল? |
|
উত্তর |
১) শান ২) ছোটে নবাব ৩) মান্না দে
৪) রামনিধি গুপ্ত (নিধুবাবু)
৫) ডোভার লেন মিউজিক কনফারেন্স |
|
|
|
|
|
|