চিকিৎসক বা ইঞ্জিনিয়ার নয়, মাধ্যমিক পাশ করার পরে সুমনের ইচ্ছা গোয়েন্দা অফিসার হওয়ার জন্য নিজেকে তৈরি করা। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার সন্তোষ কলোনির বাসিন্দা সুমন সমাদ্দার এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষায় পেয়েছে ৬৩২ নম্বর। স্থানীয় বাজিতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রটি চারটি বিষয়ে লেটার পেয়েছে। বাবা খেত মজুরের কাজ করেন। তাও বছরের সব সময় কাজ জোটে না। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সুমন মেজো। সংসারে অভাবের কারণে দাদা সুদেব সমাদ্দার পঞ্চম শ্রেণির বেশি আর পড়তে পারেনি। বোন শিল্পী অবশ্য স্কুলে পড়ছে। অভাবের কারণে পরীক্ষার আগে সুমনকে স্কুলেরই শিক্ষক শুভঙ্কর সাহা বিনা পারিশ্রমিক পড়িয়েছেন। পাশ করার পরে নিজের স্কুলেই বিজ্ঞান শাখার ভর্তি হয়েছে সুমন। কিন্তু মা-বাবার চিন্তা এখন ছেলের পড়াশোনার খরচ কী ভাবে জোগাড় করবেন। মা ঝর্নাদেবীর কথায়, “দু’বেলা ঠিকমতো খাওয়া জোটে না। মেয়েটাও পড়ছে। এর উপর ছেলের পড়াশোনা খরচ জোগাব কোথা থেকে? যদিও ওকে নিয়েই আমাদের স্বপ্ন।” কিন্তু চিকিৎসক বা ইঞ্জিনিয়ারের পেশা পছন্দ না করে গোয়েন্দা হওয়ার ইচ্ছা কেন? সুমনের উত্তর, “ছোটবেলা থেকে রহস্য ঘল্প পড়ে গোয়েন্দাদের ভক্ত আমি। হত্যা থেকে নানা রহস্যের কিনারা কী অনায়েসেই না গোয়েন্দারা করে ফেলেন। তাই আমারও ইচ্ছা সিআইডি অফিসার হওয়ার।”
|
দিদির বাড়ি আসতে গিয়ে গুলিতে জখম হলেন এক যুবক। রবিবার রাত পৌনে ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে জগদ্দলের নদিয়া জুটমিলের কাছে ঘোষপাড়া রোডে। আহতের নাম সুরজ যাদব। বাড়ি ব্যান্ডেলে। তাঁকে প্রথমে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে স্থানান্তরিত করানো হয় কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে। কে ওই যুবককে লক্ষ করে গুলি ছুড়ল, সে ব্যাপারে পুলিশ অন্ধকারে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই জুটমিলের কাছে সুরজের দিদির বাড়ি। এ দিন তিনি চুঁচুড়ার বাসিন্দা বন্ধু সুরজকে নিয়ে দিদির বাড়ি আসছিলেন। তখনই একটি গুলি তাঁর গলায় লেগে বেরিয়ে যায়। তাঁর উপরে কারা হামলা চালাল, তা খতিযে় দেখা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
|
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ এবং সাগর থানার উদ্যোগে বিশ্ব মাদকবিরোধী দিবস উপলক্ষে রবিবার সকালে বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের নেশার বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে এক পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। কাকদ্বীপে ওই পদযাত্রায় ছিলেন এসডিপিও সঞ্জিত ভট্টাচার্য, ও সি মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। ওসি বলেন, “জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে এই প্রথম এই ধরনের পথ পরিক্রমা ও সভার আয়োজন করা হয়েছে। এ দিন পথ পরিক্রমায় প্রায় সাড়ে চারশো ছাত্রছাত্রী যোগ দিয়েছিল। অন্যদিকে, সাগর থানার ওসি অরিন্দম ভট্টাচার্য বলেন, “সাগরে এদিন পথ পরিক্রমায় বিভিন্ন স্কুলের প্রায় পাঁচশো ছাত্রছাত্রী যোগ দিয়েছিল।” পদযাত্রায় ছিল মাদকবিরোধী নানা পোস্টার ব্যানার। পথ পরিক্রমার শেষে ড্রাগের নেশা যে ক্ষতিকর, সে ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে বোঝাতে এক সভারও আয়োজন করা হয়।
|
চালকের তৎপরতায় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচল ক্যানিং লোকাল। রবিরার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ ক্যানিং থেকে শিয়ালদহগামী ট্রেনটি কিছুদূর যাওয়ার পরেই হঠাৎ একটা প্রচণ্ড ঝাঁকুনি অনুভব করে চালক ট্রেনটি দাঁড় করিয়ে দেন। চালক স্বপন রায় বলেন, “নেমে দেখি ‘ওভার ল্যাপিং’ করে ট্রেনের একটি কামরার চাকা এক লাইন থেকে অন্য লাইনে চলে গিয়েছে।” স্টেশন মাস্টার বসন্ত কুমার মণ্ডল বলেন, “এই ঘটনার জেরে ওই শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। সকাল ৯টা নাগাদ ফের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |