|
|
|
|
ফরাক্কা ব্যারেজে একটি গেট বিকল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফরাক্কা |
প্রবল জলের তোড়ে ভেঙে পড়ল ফরাক্কার মূল বাঁধের ১৩ নম্বর গেটটি। ফরাক্কা বাঁধে মোট ১০৯টি গেট রয়েছে। বছর তিনেক আগেও একই ভাবে ভেঙে পড়েছিল বাঁধের ১৮ নম্বর গেটটি।
ফরাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার অরুণকুমার সিংহ বলেন, “ভেঙে পড়া গেটটি সারানোর কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি রবিবার রাতের মধ্যেই গেটটি সারানো হয়ে যাবে।” তিনি জানিয়েছেন, ওই গেটটি ভেঙে যাওয়ার ফলে কোনও বড় বিপদের আশঙ্কা নেই। ফরাক্কার মূল বাঁধটি ২.৬২ কিলোমিটার লম্বা। তার মধ্যে প্রতিটি গেটের ব্যাপ্তি ১৮.৩০ মিটার করে। জলস্তরের উচ্চতা ২১.৯০ মিটার। এ ছাড়াও ফিডার ক্যানেলে ১১টি গেট রয়েছে। ফরাক্কা ব্যারেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূল বাঁধের গেটগুলি দিয়ে প্রতি মিটারে সর্বোচ্চ ৪৬.৬ কিউমেকস জল প্রবাহিত হতে পারে। বষার্য় সেই প্রবাহ কমপক্ষে ৬৫ কিউমেকস বা ফুট প্রতি ৭০০ কিউসেকে গিয়ে দাঁড়ায়। |
|
জলের চাপে ভেঙেছে গেট। নিজস্ব চিত্র। |
তবে পদস্থ কর্তারা জানান, ব্যারেজের বেশিরভাগ গেটই বর্তমানে প্রায় অকেজো। বিশেষ করে ৫৫ থেকে ১০৯ নম্বর গেটগুলি। ফলে জলের তির্যক প্রবাহের চাপ পড়েছে ১ থেকে ৫৪ নম্বর গেটের উপর। ঠিক মতো রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ার ফলেই এর আগে ১৮ নম্বর গেটটি ভাঙে, এ বারে ভাঙল ১৩ নম্বর গেটটি। যেহেতু ভাঙা গেট দিয়ে জল প্রবাহের চাপ বেড়েছে, ফলে কিছুটা হলেও জল বাড়বে গঙ্গায়। ব্যারেজ কর্তাদের মতে, বর্ষায় এই বাঁধ দিয়ে জলপ্রবাহ থাকে ২৫ থেকে ২৬ লক্ষ কিউসেক। ব্যারেজের ১০৯টি গেট দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করার কথা। কিন্তু গেটটি বন্ধ থাকায় ব্যারেজের উজানে ব্যাপক ভাবে পলি পড়ে সঙ্কট তৈরি হতে পারে।| ওই ১৩ নম্বর গেটটি কোনওরকমে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। সেখানে জলের স্রোত প্রচণ্ড। দাঁড়ানো যাচ্ছে না ঠিক মতো। ফরাক্কার বিধায়ক কংগ্রেসের মইনুল হক বলেন, “ফরাক্কা ব্যারেজের গেটগুলি ১৯৭৫ সালে মে মাসে চালুর পরে আর সে ভাবে সংস্কার করা হয়নি। অথচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যারেজ। তার ফলেই এই ব্যারেজের এই অবস্থা। আমি সমস্ত ঘটনা কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রককে জানিয়েছি।” |
|
|
|
|
|