|
|
|
|
মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে ঘাটতি কবুল দীপকের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
অপেক্ষার পরে ফের ‘প্রতিরোধ’ শুরুর বার্তাও দিয়ে রাখলেন।
তাঁর মন্তব্য, “আরও কিছু দিন ধৈর্য্য ধরতে হবে। মানুষ পরিস্থিতির কথা বুঝতে পারবেন। অচিরেই তাঁদের ভুল ভাঙবে। বুঝবেন, ওরা (তৃণমূল) কী বলেছিল, আর কী করছে। তখন মানুষই প্রতিরোধ শুরু করবেন। ক’দিন আগে তৃণমূলীরা গোয়ালতোড়ের এক গ্রামে আক্রমণ করেছিল। গ্রামবাসীরা প্রতিরোধ করেছেন। পরে পরে এমন প্রতিরোধ অন্যত্রও হবে।”
রাজ্যে পালাবদলের পরে এই প্রথম জেলা বামফ্রন্টের আহ্বানে এক সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। শনিবার মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলে সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন দীপকবাবু, সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা-সহ বাম নেতৃবৃন্দ। সভা ঘিরে বাম কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে আগের মতো তেমন উৎসাহ অবশ্য ছিল না। দীপকবাবু পৌঁছনোরও পরে সভাস্থলে লোকজন আসা শুরু করেন। কর্মী-সমর্থকেরা যে দেরিতে পৌঁছেছেন, বক্তব্য রাখতে গিয়ে তা মেনেও নেন দীপকবাবু। জেলা জুড়ে অস্থিরতা তৈরির ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “অতীতকে ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। বামপন্থীদের সম্পর্কে ঘৃণা তৈরি করা হচ্ছে। কুৎসা চলছে। কিন্তু আমাদের দায়িত্ব হল অতীতকে মনে করিয়ে দেওয়া।” জেলা সম্পাদকের বক্তব্য, “এমন প্রচার চলছে যে সবই নতুন সরকার করছে। কিন্তু তা ঠিক নয়। অতীতে অনেক কাজ বামফ্রন্ট সরকারও করেছে। প্রচার চলছে, সবাইকে নতুন রেশন কার্ড দেওয়া হচ্ছে। আসলে পুরনো-ছেঁড়া কার্ড বদলে নতুন কার্ড দেওয়া হচ্ছে!”
নির্বাচনী বিপর্যয়ের কথা তুলে তিনি বলেন, “আমরা হেরেছি। সেই হার মেনেও নিয়েছি। গণনা শেষ হওয়ার আগেই পার্টির রাজ্য সম্পাদক বিবৃতি দিয়ে পরাজয়ের কথা মেনে নেন। কিন্তু নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে কী দেখছি? বামপন্থীদের পঙ্গু করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু তা হবে না।” দীপকবাবুর মন্তব্য, “যেহেতু ওদের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, তাই যা খুশি তাই করতে পারে। তাই করছেও।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক হারিয়ে গিয়েছে। এই হারিয়ে যাওয়া সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে হবে। মানুষকে সঙ্গে নিয়েই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।” |
|
|
|
|
|