|
|
|
|
সংবর্ধনা সভাতেও দ্বন্দ্ব প্রকট তৃণমূলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও ‘দ্বন্দ্ব’ এড়ানো যাচ্ছে না তৃণমূলে। শনিবার মেদিনীপুরে এক সভায় এসেছিলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেও প্রকট হল সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের (পশ্চিমবঙ্গ) উদ্যোগে শনিবার মেদিনীপুর কলেজের হলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস-তৃণমূল বিধায়কদের জন্য এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশন (পশ্চিমবঙ্গ)-এর সঙ্গে স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশন (ইউনিফায়েড)-এর ‘বিরোধ’ রয়েছে মেদিনীপুরে। প্রায়ই দুই সংগঠনের নেতারা পরস্পরের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। এ দিনও সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়। সভায় আমন্ত্রিত ছিলেন মেদিনীপুরের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতিও। অনুষ্ঠানে অবশ্য তিনি গরহাজির ছিলেন। মৃগেনবাবু আবার স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশন (ইউনিফায়েড)-এর রাজ্য চেয়ারম্যান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বিভিন্ন জাতীয়তাবাদী কর্মচারী সংগঠনের ইউনাইটেড কাঠামোরও চেয়ারম্যান। মেদিনীপুরের বিধায়ক সভায় অনুপস্থিত থাকায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কিন্তু তাঁকে কটাক্ষ করেন এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের (পশ্চিমবঙ্গ) রাজ্য সভাপতি মনোজ চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, “আমি এসে সহকর্মীদের কাছে খোঁজ নিলাম বিধায়ককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কি না। ওঁরা বললেন, হয়েছে। এর পরের কথাগুলো নাই বা বললাম!” এরই সঙ্গে মনোজবাবুর মন্তব্য, “একসঙ্গে আসা কঠিন। কিন্তু আমরা ঐক্য চাই। সকলে মিলে কাজ করতে চাই।”
এর পরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ‘বিরোধ’ প্রকাশ্যে আনেন স্বয়ং শুভেন্দুও। তাঁর কথায়, “দীপক সরকারের পায়ে আবির দিয়ে জাতীয়তাবাদী সংগঠন করা যায় না। আমরা দীপক সরকার-সুশান্ত ঘোষদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই করব। আমরা চাই সমস্ত জাতীয়তাবাদী সংগঠন এক ছাতার তলায় আসুক।” প্রসঙ্গত, বছর খানেক আগে মেদিনীপুরেই সাংবাদিকদের উদ্যোগে আয়োজিত এক দোল-উৎসবে সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকারের পায়ে আবির দিয়ে প্রণাম করেছিলেন মৃগেনবাবু। দীপকবাবু যখন মেদিনীপুর কলেজে শিক্ষক ছিলেন, তখন ছাত্র ছিলেন মৃগেন মাইতি। সেই সূত্রেই এক অনুষ্ঠানে দেখা হওয়ায় দীপকবাবুর পায়ে আবির দিয়েছিলেন অধুনা মেদিনীপুরের বিধায়ক। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেই প্রসঙ্গ তুলেই নাম-না করে দলের প্রবীণ নেতার সমলোচনা করেন তমলুকের সাংসদ। প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়ায় মৃগেনবাবু বলেন, “কিছু কাজের জন্য কলকাতায় গিয়েছিলাম। তাই অনুষ্ঠানে যাওয়া হয়নি। তবে কে কী বলেছেন, পুরোটা না জেনে মন্তব্য করব না।” |
|
|
|
|
|