|
|
|
|
ভারতীয় বোর্ড ক্ষমতা দখল করতে চায়, আশঙ্কা ব্রিটিশ মিডিয়ার |
আইপিএলের জন্য হয়তো বিশেষ সময় |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বিশ্ব জুড়ে ক্রিকেটাররা যে দাবি এত দিন ধরে জানিয়ে এসেছেন, তা অবশেষে মেনে নিতে পারে আইসিসি। অর্থাৎ আইপিএলের জন্য বিশেষ একটা সময়সূচি বার করতে পারে আইসিসি, যখন সে সময় কোনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হবে না। টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জন্য ইতিমধ্যেই সেপ্টেম্বরে সময় বার করে রেখেছে আইসিসি।
একটি ওয়েবসাইটের খবর অনুযায়ী, প্রাথমিক ভাবে একটা খসড়া তৈরি করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে এপ্রিল-মে মাসে বেসরকারি ভাবে আইপিএলের জন্য একটি ‘উইন্ডো’ বার করবে আইসিসি। ওই সময় কোনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সূচি রাখা হবে না।
হংকংয়ে আজ থেকে আইসিসি-র যে বৈঠক শুরু হয়েছে, তাতে এই বিষয় নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। যার জন্য গোটা ক্রিকেট বিশ্বের চোখ আছে এই বৈঠকের উপর। ইংল্যান্ড-সহ কোনও কোনও দেশ মনে করছে, এই বৈঠকে চূড়ান্ত ক্ষমতা নিজেদের দখলে নিতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কারণ, এই বৈঠকে আইসিসি-র গঠনতন্ত্র বদলে ফেলার একটা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আইসিসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে ‘রোটেশন’ নীতি তুলে দেওয়া হোক। এবং প্রেসিডেন্টের মেয়াদ অনির্দিষ্ট কালের জন্য করে দেওয়া হোক। এই প্রস্তাব কার্যকর হলে একই দেশ থেকে পরপর দু’বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতেই পারে। এমনকী এক জন লোকও দীর্ঘ দিন ধরে প্রেসিডেন্ট থেকে যেতে পারেন।
ব্রিটিশ মিডিয়ার দাবি, এই ভাবেই আইসিসি-র উপর নিজেদের কর্তৃত্ব কায়েম রাখতে চায় ভারত। লন্ডনের একটি সংবাদপত্রে প্রখ্যাত ক্রিকেট লিখিয়ে শিল্ড বেরি লিখেছেন, “আইসিসি-র এখনকার নিয়ম অনুযায়ী শরদ পওয়ারের পর কোনও ভারতীয় প্রেসিডেন্ট হতে পারবে না। কিন্তু নতুন নিয়ম চালু হলে, ক্রিকেট বিশ্বে ভারত ইচ্ছা মতো জোর খাটাতে পারবে। এর পর যদি আইসিসি প্রেসিডেন্ট পদে আজীবন ভারতের লোকই থেকে যায়, তা হলে বিশ্ব ক্রিকেটে তার চূড়ান্ত প্রভাব পড়বে।”
সংবাদপত্রে প্রাক্তন ইংরেজ ক্রিকেটার জিওফ বয়কটও বলেছেন, “অনেক ক্রিকেট খেলিয়ে দেশই ভারতের অর্থনৈতিক ক্ষমতাকে ভীষণ ভয় পায়।” আর মাইকেল ভনের সোজাসাপটা বক্তব্য, “ভারতীয়রা ক্রিকেটটা দখল করে নিচ্ছে।”
একই সঙ্গে আরও একটা আইন চালু করতে পারে আইসিসি। কোনও দেশের সরকার যদি ক্রিকেট বোর্ডের কাজে হস্তক্ষেপ করে, তা হলে সেই বোর্ডকে সাসপেন্ড করে দিতে পারে আইসিসি। এই আইন চালু হলে পাকিস্তান সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। কারণ, পাক বোর্ডের পেট্রন-ইন-চিফ হলেন স্বয়ং পাক প্রেসিডেন্ট। তাই এই আইন ঠেকাতে আগে ভাগেই আইসিসি-র কাছে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে রেখেছে পাক বোর্ড। |
|
|
|
|
|