|
|
|
|
দাঁতালের পায়ে পিষ্ট কুমারগ্রামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
এক দলছুট বুনো দাঁতালের পায়ে পিষ্ট হয়ে এক মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে কুমারগ্রাম ব্লকের পশ্চিম চ্যাংমারি গ্রামে রায়ডাক নদীর চরে এই ঘটনা ঘটে। রবিবার ভোরে স্থানীয় বাসিন্দারা মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখে বনদফতরে খবর দেন। বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসবার সাথে সাথে এলাকার বাসিন্দারা তাদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পর পর হাতির হানায় অতিষ্ট গ্রামবাসীরা হাতির হানা বন্ধে স্থায়ী সমাধান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তোলেন। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মৎস্যজীবীর নাম বীরেন বর্মন (৩৫)। বাড়ি কুমারগ্রামের রাধানগর জেলে বস্তি এলাকায়। এ দিন রাতে আরও পাঁচ মৎস্যজীবীর সাথে মাছ ধরতে যান বীরেনবাবু। সাথীদের থেকে দলছুট হয়ে পড়েন তিনি। সম্ভবত অন্ধকারে হাতির উপস্থিতি টের না পাওয়াতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ দিকে, টানা তিন ঘন্টা বিক্ষোভ চলবার পর বনকর্তারা উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। এছাড়া ওই রাতেই দলছুট দাঁতালটি পশ্চিম চ্যাংরামারি, পূর্ব চ্যাংমারি ও নারারথলি গ্রামে ব্যাপক তান্ডব চালায়। একটি ধানের মিলঘর সহ-বারোটি বাড়ি ভেঙে দিয়ে ঘরের মজুত করা ধান, চাল, আটা খেয়ে নেয়। হাতি তাড়াতে গিয়ে বিবিধ বসুমাতা জখম হন। স্থানীয় গ্রামবাসী বাপি সিংহ বলেন, “হাতির হানায় আমরা দিশেহারা। জমিতে ফসল ফলাতে পারছি না। ঘর নষ্ট করছে। ঘটছে জীবনহানির মতো ঘটনা। পাঁচ বছরে ৬ জন গ্রামবাসীর হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে। বন দফতর হাতির হানা রুখতে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সাউথ রায়ডাক রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার উৎপল দত্ত বলেন, “মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার উদ্যোগী হব। হানা রুখতে রাতে টহল এবং গ্রামবাসীদের আরও পটকা, সার্চলাইট দেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|